সাহেবেরঘাট সেতুর সংযোগস্থল ফের সংস্কার করেছে নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। সম্প্রতি সময়ের বৃষ্টিতে সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়কের বালু সরে যাওয়ায় এই সংস্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার দৈনিক ফেনীকে বলেন, প্রধান সমস্যা হল, মুছাপুর রেগুলেটর না থাকায় জোয়ার-ভাটা প্রভাব সেতুর উপর পড়ছে। গত বছরের বন্যায় ব্রিজসংলগ্ন সংযোগ সড়কের মাটি নদীতে ধসে গিয়ে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছিল। তখন জিও ব্যাগ দিয়ে সাময়িকভাবে সংস্কার করে যানচলাচল সচল করা হয়। বন্যার পর এদিকে আর বৃষ্টি হয়নি, এবার প্রথমবার বৃষ্টির পানিতে যে জায়গাগুলোতে দুর্বল ছিল সেসব স্থানের বালি সরে গিয়েছে। সেজন্য আবার সংস্কার করা হয়েছে।
স্থায়ী সমাধান নিয়ে সওজের এই কর্মকর্তা বলেন, সমাধান নিয়ে নকশা প্রস্তুত করা হচ্ছে। যদি সেতুর সাথে সংযোগ সড়কের কোন সমস্যা বা দুর্বলতা থেকেও থাকে সামনের নকশায় এটি নিরসন হবে। এটি অনুমোদন হয়ে এলে আমরা দরপত্র আহবান করবো। এই বর্ষা মৌসুমে স্থায়ী সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, অস্থায়ী সমাধান এবং বারবার সংস্কার হওয়ায় ভারী বর্ষণে আবারও সোনাগাজী-কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ছোটধলি এলাকার বাসিন্দা জহির উদ্দিন ও নুর আলম বলেন, সেতুটি নির্মাণের সময় গার্ডার ভেঙে পড়েছিল। গত বছর বন্যায় ও ভারী বর্ষণে সেতুর পশ্চিম অংশে বড় গর্ত হয়ে দুই উপজেলার যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী সমাধান করায় এবার সমান্য বৃষ্টিতে আবার গর্ত তৈরি হয়েছে। দুইদিন ধরে আবার তারা সংস্কার করে। স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এভাবে চলতে থাকবে। ভারী বৃষ্টি হলে আবারও বালি এবং জিও ব্যাগ সরে যাবে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।
সংযোগ সড়কের ধস নিয়ে গতবছর দৈনিক ফেনীতে প্রকাশিত সংবাদে বক্তব্য দেন সেঁতুর পশ্চিমে পাশের দোকানী মোঃ শাহাজান। তিনি বলেন, আগস্ট মাসের প্রথম সাপ্তাহে ব্রিজের পশ্চিম পাশের উত্তর অংশে ছোট একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। সেসময় কয়েকজন কর্মকর্তা এসে দেখে গেলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। এরপর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে একই স্থানের দক্ষিণ অংশের সিমেন্টের প্রলেপ মাটিসহ সরে নদীতে ভেঙে পড়ে। যোগাযোগ ও যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে দুই উপজেলার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বালুভর্তি ব্যাগ ফেলে যাওয়ার পর রাতে আবার ব্রিজের সংযোগসড়কে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং পানি উনয়ন্ন বোর্ড সংশ্লিষ্ট কর্তা-ব্যক্তিদের দায়িত্বে অবহেলাতেই সড়ক ধ্বসে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।