ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেছেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শ্রমিকদের আন্দোলন সফল হতে হলে, শ্রমিকদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে হলে তার অন্যতম উপায় হলো শিক্ষা। শ্রমিকদের শিক্ষিত হতে হবে। তবেই কোন শ্রমিক শোষণ, নিপীড়ন ও বঞ্চনার শিকার হবে না। আজ সোমবার (১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’- এ প্রতিপাদ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, শ্রমিকদের শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শ্রমিকদের মধ্যে শিক্ষার আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। টার্মিনালে কিংবা গার্মেন্টসে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। নিজেদের অধিকারের বিষয়ে শ্রমিকদের ধারণা দিতে হবে। তবেই শ্রমিকরা তারা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবে।
তিনি বলেন, শ্রমিক নেতারা শুধুমাত্র নেতা হওয়ার জন্য আন্দোলন না করে নিজেরা যদি তাদের দায়িত্ব পালন করে তবেই শ্রমিকদের সঠিক অধিকার বাস্তবায়ন হবে। শ্রমিক নেতা হলে তারও যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের জন্য শ্রমিক নেতা হলে হবে না। নেতাকেও শিক্ষিত হতে হবে এবং সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে কাজ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে একদিন দেশ স্মার্ট হবে। মালিক শ্রমিকদের মধ্যে কোন দূরত্ব থাকবে না। সুন্দর সমাজ গড়ে উঠবে। এসময় তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মালিক শ্রমিককে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাৎ হোসেন বলেন,দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ রুপান্তর করতে হলে মালিক শ্রমিকদের ঐক্য বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে শ্রমিকরা টাকা পায়। এসময় তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে মালিক শ্রমিকদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এসএসআর মাসুদ রানা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী, স্টারলাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান পরিবহন নেতা জাফর উদ্দিন, পরিবহন নেতা আজম চৌধুরী, শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মে দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়। র্যালীতে পরিবহন, হোটেল শ্রমিক, দোকান শ্রমিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।