দাগনভূঞায় করোনা আক্রান্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তার নমুনা সংগ্রহের কথা নিজ কার্যালয়ে কাউকে জানান নি। ২১ এপ্রিল কোভিড টেস্ট দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কাজকর্ম করে যাচ্ছিলেন। এমনকি বুধবারও তিনি অফিসে এসেছিলেন। এ কারণে করোনা ঝুঁকিতে পড়েছে পুরো উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ, বিভিন্ন প্রয়োজনে আসা মানুষজন ।


আক্রান্ত ব্যক্তি বলেন, আমার শারীরিক কোনো সমস্যা এ মুহূর্তে নেই। সামান্য জ্বর ও হালকা গলা ব্যথা থাকায় অনেকটা কৌতুহলবশত টেস্ট করিয়েছিলাম।


এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান। তিনি জানান, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকে যেন নিজ থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকেন, সেজন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান দিদারুল কবির রতন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান ও তার স্ত্রী, পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান ও তার স্ত্রী, জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুবাইয়েত বিন করিম ও আক্রান্ত ব্যক্তিসহ মোট ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।


উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন জানান, আক্রান্ত কর্মকর্তা নিজের নমুনা সংগ্রহের কথা বলেনি। এতে সবাই এখন শংকায় পড়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল হাসান বলেন, আমি জানতাম না তার যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। কেন গোপন করল তা বুঝতে পারছি না।


উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুবাইয়েত বিন করিম বলেন, অনেকটা কৌতুহলী হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের টেস্ট করিয়েছিলেন। তেমন কোনো উপসর্গ না থাকায় তিনি গুরুত্ব দেননি।


জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মিলন বলেন, জানতাম না তিনি কোভিড টেস্ট এর জন্য নমুনা দিয়েছেন। তবে তিনি সুস্থ, তাই হয়তো নমুনা দেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছিলেন।


জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তাকে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হবে।


বুধবার একই দিনে জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় দুজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হন। এর মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন, যিনি ঢাকা হতে এসেছিলেন। আক্রান্ত দুজনের মধ্যে করোনার কোন উপসর্গ দেখা যায় নি।