সরকার নির্ধারিত মূল্যে ফেনীতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর পণ্য বিক্রয় হচ্ছে। আজ সোমবার (৩০ মার্চ) সকাল হতে শহরের রেল গেইট এলাকা ও মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে পণ্য বিক্রয় করছে অনুমোদিত ডিলাররা। এসময় পণ্যের বিক্রয় ও ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী। ভোগ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে চিনি, ডাল ও তেল।


টিসিবির ডিলার মোঃ হুমায়ুন কবির ভূঞা জানান, চলতি মাসে আজ দ্বিতীয় ধাপে শহরের দুই স্থানে ৬শ ৫০ কেজি চিনি, মশুরের ডাল ৩শ কেজি, ভোজ্য তেল ১ হাজার লিটার। তিনি বলেন, চিনি ও ডাল ৫০টাকা কেজি দরে এবং তেল লিটার প্রতি ৮০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।


টিসিবির সেবা প্রসঙ্গে ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেন, এখানে ক্রেতা সরকারকর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে নিত্যপণ্য হাতের নাগালে পাচ্ছে। তিনি জানান, যেখানে পণ্যের সংকট থাকবে সেখানে এ সরবরাহ ভোগ্যপণ্যের চাহিদা পূরণ করবে।


জেলা প্রশাসক বলেন, তুলনামূলক কম মূল্যে টিসিবির এ সেবা অসাধু ব্যবসায়ীর কারনে যেন খাদ্যের কৃত্রিম সংকট হতে ক্রেতাকে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, বাজারে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, জনগণের দুর্ভোগ কমানো।


অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী জানান, টিসিবির পণ্য কিনতে ক্রেতা সমাগম দেখা যায়। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস ইস্যুতে জনস্বার্থে চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। এসময় টিসিবির ন্যায্যমূল্য সুবিধায় জনগন উপকৃত হবে।


মহিপালে টিসিবির পণ্যবাহী ট্রাক হতে এক কেজি ডাল ও এক লিটার তেল কিনেছেন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি সাজ্জাদ ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারে এ ডাল ৭০ টাকা তাই এখান থেকে কিনেছি। তিনি বলেন, সবসময় এ সুবিধা পাওয়া যায় না, কখন ও কোথায় পাওয়া যাবে তাও জানা যায় না। আগে থেকে জানা থাকলে কম দামে কেনার সুযোগ থাকত।


উল্লেখ্য, এর আগে ২৭ মার্চ ফেনীতে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হয়েছিল। টিসিবি ডিলার হুমায়ুন জানান, পরবর্তিতে যে কোনো সময় টিসিবির পণ্য আবারও পাওয়া যাবে তবে তা নির্দিষ্ট নয়।