জামাতে নামাজ আদায় করে সাইকেল ও ইসলামী বই পুরস্কার পেয়েছেন ৫৬ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া নামাজ পড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বাকি ১৪৭ জন পেয়েছেন শিক্ষা উপকরণ ও ইসলামিক বই। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামনগর ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. ফয়জুল হক।
অনুষ্ঠানে রামনগর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ আহছান উল্যাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আবদুল মোতালেবের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, জামায়াতের মজলিশে শূরা সদস্য মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ.এস.এম নূর নবী দুলাল, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা গাজী ছালেহ উদ্দীন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র নজির আহাম্মদ, ব্যাংকার আনোয়ার উল্যাহ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন ও জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মোঃ ইমাম হোসেন প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্র শিবিরের দাওয়া সদস্য আতিক উল্ল্যাহ শরিফ, সাবেক ছাত্র শিবির নেতা দেলোয়ার হোসেন মিঠু, অত্র ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক নেতা ডা. সাইফুল ইসলাম, মুক্তার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মাকসুদর রহমান, তুলাতুলি শাহী জামে মসজিদের খতিব হজরত মাওলানা ক্বারী আব্দুল মালেক, ব্যাংকার মুসফিকুর রহমান আরাফাত, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন টিংকু ও অভিভাবক মোখসুদের রহমান পাভেল। এছাড়াও গণমাধ্যমকর্মী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলার রামনগর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামি ঘোষণা দিয়েছিল যে, অত্র ইউনিয়নের কিশোর যদি টানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে তাহলে তাদের একটি করে বাইসাইকেল পুরস্কার দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এই নামাজ পড়া প্রতিযোগিতায় মোট ২০২ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৫৬ জন উত্তীর্ণ হয়। এই ৫৬ জনকে বাইসাইকেল পুরস্কার দেওয়া হয়। অংশ নেওয়া বাকি ১৪৭ জনকে স্কুলব্যাগ, খাতা, কলম ও ক্যালেন্ডার পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও অত্র ইউনিয়নের ১৬টি জামে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।