দাগনভূঞায় ভয়াবহ বন্যায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মারা গেছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৫৫৪টি গবাদিপশু ও হাঁস মুরগি। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩ হাজার ৩৯০ টাকা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভয়াবহ বন্যায় এ উপজেলায় ১৮৭টি গরু, ৭৭টি ছাগল, ৫টি ভেড়া, ২ হাজার ৩১৫ টি হাঁস, ৩লাখ ২৬ হাজার ৯৭০টি মুরগি মারা গেছে। এছাড়ায় বন্যায় ৭৭ লাখ ৩৫ হাজার ২৯০ টাকা সমমূল্যেল পশু ও পাখির ১৩৯.৩টন দানাদার খাদ্য, ৫১ লাখ ১৭ হাজার টাকা মূল্যের ৫০৬.৪ টন খড়, ২০ লাখ ৪৫ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের ৪৫৫.২ টন ঘাস নষ্ট হয়েছে। বন্যায় অবকাঠামো খাতে ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা এবং মৃত গবাদিপশুর আর্থিক পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারী ও সাধারণ কৃষকরা তাদের গবাধিপশু ও সম্পদ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেক খামারী। ধারদেনা পরিশোধ নিয়ে তারা খুবই দুঃচিন্তায় দিন কাটছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এসব খামারিরা সরকারিভাবে কিছু সহায়তার জন্য বিভিন্ন অফিসে ছোটাছুটি করছেন। খামারিরা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পাবেন কিনা তাও সঠিকভাবে কেউই বলতে পারছে না। এতে হতাশ ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুজন কান্তি শর্মা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক খামারীদের মাঝে গোখাদ্য সরবরাহ, চিকিৎসা ও পরামর্শ সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। খামারিদের মাঝে ৭ হাজার ২৫০ কেজি গোখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের তালিকা প্রস্তুত করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের পাশে থাকার ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক।

এ কর্মকর্তা আরও জানান, বরাদ্দ এলে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবো। বন্যায় প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা করা হয়েছে।