ফেনীর দাগনভূঞা পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান এর বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে মারধর ও দোকানে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন শফিকুর রহমান বাবুল নামে ওই ব্যবসায়ী। ইতোমধ্যে হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভাইরাল হয়েছে। বাবুল দাগনভূঞা বাজারের ফেনী রোডের ব্যবসায়ী মেসাস উড এন্ড ফার্নিচার ইম্পেরিয়াম স মিলের সত্ত্বাধিকারী।
জিডিতে ওই ব্যবসায়ী উল্লেখ করেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ২য় ইউনিটটি গত আগস্ট মাসে দাগনভূঞা বাজার থেকে পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের গজারিয়া বাজার স্থানান্তর করা হয়। গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লকডাউনের সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি খোলা কেন জানতে চান। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান তার দোকানের আসবাবপত্র বাইরে ছুঁড়ে ফেলে এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। একপর্যায়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় ওই দোকানে প্রবেশ করে। ব্যবসায়ীর সাথে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দোকানে চেয়ার টেবিল বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেয় ও লোহার শাবল দিয়ে তার মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করছেন।
বাবুল জানান, শিল্পকারখানাগুলো লকডাউন এর আওতার বাইরে রয়েছে। সেজন্য আমার কারখানাটি খোলা রাখি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমার ৬/৫ জন কর্মচারী সেখানে কাজ করছে। হামলার বিষয়টি তাৎক্ষণিক আমি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাকে জানালে তিনি আমাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
অভিযোগের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ জানান, স'মিলে যারা কাজ করছে তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। বিষয়টি স'মিল মালিককে জানাই। তখন সামনা-সামনি গালমন্দ করলে আমি মেজাজ হারাই। তখন স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে চেষ্টা করি। স'মিল শিল্প প্রতিষ্ঠান হওয়ায় লকডাউনের আওতামুক্ত হলেও বন্ধ করতে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, জেলা প্রশাসন হতে এমন তথ্য পাই নি।
দাগনভূঞা থানা ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ব্যবসায়ীকে হামলার ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। দোষী হলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএনও নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, ব্যবসায়ী শফিকুর রহমান বাবুল আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।