দাগনভূঞা থানার প্রত্যাহারকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত চলছে। চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উর্ধ্বতন একটি দল তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো তদন্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন ফেনীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী-দাগনভূঁইয়া সার্কেল) মোঃ সাইকুল আহম্মদ ভূঁইয়া। তিনি জানান, তদন্তের পরে জানা যাবে অভিযোগ সত্য কি মিথ্যা।
এর আগে বুধবার (২১ অক্টোবর) পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে দাগনভূঞা থানা থেকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী।
অন্যদিকে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিআই-২) ইমতিয়াজ আহমেদকে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে তার দাগনভূঞায় থানায় যোগদান করার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের যমুনা ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী ও দাগনভূঞা আই কেয়ার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক রফিফুল ইসলামের পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার ভাইদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। ওই ঘটনায় তার অপর এক ভাই (পুলিশ কর্মকর্তা) নুরুল আলমের কেয়ারটেকার লাইজু বেগম বাদী হয়ে গত ২০শে সেপ্টেম্বর দাগনভূঞা থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম, তার প্রবাসী ভাই নাসির উদ্দিন (সাবেক সিআইপি) ও আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়। মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার দায়ে গত ৪ই অক্টোবর ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম আসলাম সিকদারের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ১১ই অক্টোবর চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশ সুপার হাসান বারী নূর অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে বুধবার ওসি আসলাম সিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়।
অভিযোগকারী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওসি আসলাম সিকদার তার কাছে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ চেয়ে না পেয়ে আমাদের মিথ্যা মামলায় আসামি করে হয়রানি করেছেন। এই ব্যাপারে আমি চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিসহ পুলিশ সদর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম।’