দাগনভূঞায় সিন্দুরপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আজাদুল ইসলাম আজাদের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২১ অক্টোবর) সকালের দিকে ১৩ জনকে আসামীর নাম উল্লেখ করে ও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে আজাদের স্ত্রী শাহীনা সুলতানা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন⇒ ‘সিন্ধুরপুরে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতির উপর হামলা’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোজাম্মেল হক জানান, এ মামলার প্রধান আসামী উপজেলার কামার পুকুরিয়া গ্রামের মৃত মকবুল আহাম্মদের ছেলে সাইফ উদ্দিন লিটু (৪৫) ও তার এক সহযোগিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সকালে রাজাপুর ইউনিয়নের কামারপুকুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

মামলার অন্য আসামীদের মধ্যে রয়েছেন সাপুয়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাওলা (৩৬), রাজাপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভবানীপুর গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক (৩২), রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও কামার পুকুরিয়া গ্রামের মৃত ডা. সাহাব উদ্দিনের ছেলে শাহ সুফি ছদর উদ্দিন (২৪) প্রমুখ।

 

এর আগে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ফেনী শহরের মাষ্টারপাড়ায় ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর কাছে আজাদের উপর হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি নিয়ে পরিবারের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীরা সাক্ষাত করে।

আরও পড়ুন⇒ ‘সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতদের ছাড় নেই’

তাদের দাবির প্রেক্ষিতে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন সাংসদ।

এর আগে সোমবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় সিুন্দরপুর গ্রামের চায়ের দোকানের সামনে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আজাদের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আজাদের বন্ধু স্বপনও আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আজাদকে উদ্ধার করে প্রথমে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে আজাদের ঘনিষ্ঠরা দরবেশের হাটে বিক্ষোভ মিছিল করে।