দাগনভূঁঞা উপজেলা সদরের নামার বাজার এলাকার ভাই-ভাই টাওয়ার। ওই ভবনের মালিক ভাই-ভাই টাওয়ারের গোলাম সারওয়ার কাগজপত্রে একটি গ্যাস চুলার অনুমোদন নিয়েছেন। কিন্তু ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বেরিয়ে এল আসল চিত্র। একটির অনুমোদন নিয়ে ওই ভবনে জ্বলছিল ১৪টি চুলা।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখে অবাক হন সংশ্লিষ্টরা। পরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকায় ওই মালিকের এক লাখ টাকা জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত। এসময় অবৈধ ১৪টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের খবর পেয়ে দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে নামার বাজার ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে নামার বাজার এলাকায় বাসাবাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকায় বাংলাদেশ গ্যাস আইন ২০১০ অনুসারে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
একই দিন পৌর শহরের জিরোপয়েন্টে নির্ধারিত মাসিক লোডের চেয়ে অধিক পরিমাণে গ্যাস ব্যবহার ও নোংরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুত করায় সংশ্লিষ্ট আইনানুসারে মেসার্স গ্রান্ড সুইটস এবং বাংলা হোটেল ও বিরিয়ানি হাউজ নামে দুই প্রতিষ্ঠানের মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এছাড়া পাবলিক প্লেসে ধুমপান ও দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় দুইজনকে এক হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ গ্রহণে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মাসুমা জান্নাত।
অভিযানে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর ফেনী আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোঃ সাহাব উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী কামরুল হাসান, নুরুল করিমসহ আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।