যৌবনের শুরুতেই তিনি যুদ্ধে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। সেই যুদ্ধ ছিল দেশের জন্য। যুদ্ধ শেষে বিজয়ের বেশে ফিরে এসে আবার আরেক যুদ্ধে শামিল হয়েছিলেন তিনি। সেই যুদ্ধ ছিল স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণের জন্য। আজীবন সেই যুদ্ধ করে গেলেও মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দাগনভূঞা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শরীয়ত উল্লাহ বাঙালি।
আজ শুক্রবার ( ২৬ জুন) বিকাল সোয়া চারটার দিকে উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের হাসান গনিপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আগামীকাল শনিবার সকাল দশটায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
তার মৃত্যুতে শোকাহত দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবীর রতন। তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে দাগনভূঞা আরেক নক্ষত্রকে হারালো। আল্লাহ যেন তাকে বেহশত নসীব করেন।
শরিয়ত উল্লাহ বাঙালি জামায়াতে ইসলামের সাবেক আমির মকবুল আহমাদ ও চৌধুরী মাঈনুদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত যুদ্ধাপরাধ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম স্বাক্ষী ছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
এ নিয়ে ফেনীতে একইদিনে চারজন মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন। এর মধ্যে একজন পরশুরামে ও দুইজন সোনাগাজীর বাসিন্দা ছিলেন।