ফেনীর দাগনভূঞায় ডাকাতির চেষ্টাকালে বাধা দেয়ায় আবদুল মান্নান (৫০) নামে এক নৈশপ্রহরীকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে ডাকাত দল। এসময় পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে ৩ ডাকাত নিহত হয়। এছাড়া এক ডাকাতকে আটক করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত ডাকাতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এসব তথ্য জানিয়েছেন দাগনভূঞা মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম শিকদার।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ভোরে উপজেলার বেকের বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ৩ টি বড় ছুরিসহ ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার এবং ব্যবহৃত ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলরাম শিকদার ও স্থানীয়রা জানায়, আনুমানিক রাত সাড়ে ৩টার সময় ডাকাত দল বেকের বাজারে শরিয়ত এ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি মুদি দোকানে ডাকাতির চেষ্টা করে। মালামাল লুট করে ট্রাকে তোলার সময় নৈশপ্রহরী আবদুল মান্নান (৫০) ও রফিক তাদের দেখে চিৎকারের চেষ্টা করে। এসময় ডাকাত দল আবদুল মান্নানের হাত পা বেঁধে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে। স্থানীয় কয়েকজন মানুষ টের পেয়ে বাজার মসজিদের মাইকে এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসার আাহবান করে ও পুলিশকে জানায়। একপর্যায় ডাকাত দল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও স্থানীয়রা মিলে তাদের ধাওয়া দেয়। পরে ডাকাতদের ধরতে পুলিশ গুলি ছুড়লে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে উদ্ধার করে দাগনভুঞা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর গুলিবিদ্ধ একজনকে সকাল ৯টায় ফেনী জেনারেল হাসাপাতালে প্রেরণের পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আজিজুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর বলে তিনি জানান।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম শিকদার জানান, নৈশ প্রহরীসহ নিহত সকলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। নিহত নৈশ প্রহরী আবদুল মান্নান একই উপজেলার আশ্রাফপুর গ্রামের মৃত নুর নবীর ছেলে।