অভাবের সংসারে বাড়তি রোজগারের আশায় কাজ না থাকলে নদীতে মাছ ধরতে যেতেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আব্দুর শুক্কুর মিয়া (৬৩)। সেই নদীতেই শেষ হলো তার জীবন। গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ চরদরবেশ বড়ধলী ২৬ নম্বর পিলারের কাছে ছোট ফেনী নদীর বাল্লার চর এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আব্দুর শুক্কুর সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়নের নবী উল্যা বাজার এলাকার মৃত মো. মোস্তফার ছেলে। তিনি পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে শুক্কুর মিয়া নিজের সাইকেল নিয়ে মুসাপুর ক্লোজার সংলগ্ন ছোট ফেনী নদীতে মাছ ধরতে যান। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

নিহতের ছেলে তারেক হোসেন বলেন, বাবা রাতে বাড়ি না ফেরায় আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। পরে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলাম। সকালে চায়না প্রজেক্ট এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে সাইকেল দেখতে পেলেও বাবাকে পাইনি। পরে স্থানীয়দের নিয়ে নৌকা ভাড়া করে নদীতে খোঁজ করা শুরু করি।

স্থানীয় বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন বলেন, শনিবার সকালে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ছোট ফেনী নদীর বাল্লার চর এলাকায় শুক্কুর মিয়ার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, মাছ ধরতে গিয়ে প্রবল জোয়ারের স্রোতে পড়ে তিনি ডুবে যান। তার এক হাতে জালের রশি বাঁধা ছিল। শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও মাছ ও কাঁকড়ার কামড়ে শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে।

স্থানীয় সমাজপতি আবুল কাশেম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম দৈনিক ফেনীকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল করেছে। প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোন অভিযোগ নেই।