সোনাগাজীতে মৎস্য বিভাগের অভিযানে সারাবছর নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ফেনী নদীর মুহুরি প্রজেক্ট এলাকা থেকে মোট ১০টি চায়না জাল জব্দ করা হয়। প্রতিটি জালের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৫০০ মিটার।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুফ মিয়া। অভিযান শেষে জেলা ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাছলিমা আকতার জানান, চায়না দুয়ারি সারা বছর নিষিদ্ধ। এটি মাছ শিকারের জন্য স্থায়ী ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চায়না জাল নির্দিষ্ট প্রজাতি লক্ষ্য না করে সব ধরনের মাছ, পোনা-রেনু, ক্রাস্টেসিয়ান (জলজ খোলসহ প্রাণী), ছোট জলজ প্রাণীসহ নদীর বাস্তুতন্ত্রের অন্যান্য জীবকেও ধরে ফেলে। এর ফলে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় মাছই নয়, অন্যান্য জলজ প্রাণীর সংখ্যা কমে যায়, অর্থাৎ জীববৈচিত্র্য ক্ষতি হয় এবং নদীর বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তিনি আরও জানান, ফেনী নদী ও জোয়ারের পানি আসা এলাকায় চায়না জালের ব্যবহার ব্যাপক। মৎস্য অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান চালিয়ে নদী থেকে এই ধরনের জাল জব্দ ও ধ্বংস করছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফেনী জেলা মৎস্য অফিসার মো. শামশুল করিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবদুল্লা আল হাসান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাছলিমা আকতার, সোনাগাজী মৎস্য ও বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের খামার ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া অভিযানে অংশ নেন উপজেলা মৎস্য অফিস টিম এবং সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ টিম।
মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও অবৈধ চায়না জালের ব্যবহার কমাতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে।