সাইপ্রাসে (তুর্কী অংশ) নিয়ে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে প্রবাসী ছেলে মীর হোসেন হৃদয়ের প্রতারণার অভিযোগে সোনাগাজীতে তার মা শামসুর নাহারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়নের নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজিদ আকন্দ বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় শামসুর নাহার গ্রেপ্তার করে গতকাল সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মতিগঞ্জ বাজারের চুনি মাঝি বাড়ির মাঈন উদ্দিন সবুজকে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাইপ্রাস নিয়ে যান একই বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মীর হোসেন হৃদয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর সবুজকে কোন কাজ না দিয়ে পথে ছেড়ে দেয় এবং নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে। সবুজ প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফিরে এসে বৈদেশিক কর্মসংস্থা ও অভিবাসি আইনে প্রতিকার চেয়ে হৃদয়, তার মা শামসুর নাহার ও তার ভাই রৌদ্রের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। শামসুর নাহারের ব্যাংক হিসেবে ওই টাকা লেনদেন করা হয়েছে। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে সাইপ্রাস (তুর্কী অংশ) পাড়ি জমান সোনাগাজীর অনেক যুবক। অনেকেই স্বল্প সময়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে দালালদের লোভনীয় প্রস্তাবে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়াও বর্তমানে সোনাগাজীর শত শত যুবক সাইপ্রাস যেতে বিভিন্ন দালালদের কাছে অগ্রীম টাকা জমা দিয়ে রেখেছেন। সাইপ্রাস (তুর্কী অংশ) বাংলাদেশ সরকারের সাথে কোন শ্রমিক পাঠানোর চুক্তিবদ্ধ নেই, ডুবাই ও তুর্কী হয়ে সাত থেকে আট লক্ষ টাকার চুক্তিতে তাদের সাইপ্রাস পাঠানো হয়।