উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) এর নাম ভাঙ্গিয়ে সোনাগাজীতে একটি কনফেকশনারী দোকান থেকে ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের আমির উদ্দিন মুন্সির হাটের তারেক সুইটস এন্ড কনফেকশনারীর স্বত্বাধিকারী সাখাওয়াত উল্যাহ তারেকের সাথে এমন ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেবের সাথে সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে থানায় ওই ব্যবসায়ী সাধারণ ডায়েরী করেছেন বলে জানিয়েছেন সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম ইসলাম। তিনি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার সাথে স্থানীয় ইউপি সদস্য আরু মেম্বার জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী তারেক। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আরু মেম্বার দোকানে গিয়ে কর্মচারীর কাছ থেকে তার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার নিয়ে যায়। আসার সময় ইউএনও কল করলে রিসিভ করতে বলেন তিনি। পরে রাত পৌনে দশটার দিকে একটি নাম্বার থেকে তার কাছে কল আসে। কল করে ওই ব্যক্তি ইউএনও পরিচয় দিয়ে তার দোকান খোলা রাখা ও মিষ্টির কারখানায় অভিযানের ভয় দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকা বিকাশে দিতে বলেন। এরপর তিনি সরল মনে ওই নাম্বারে প্রথমে ২৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠান। পরবর্তীতে রাত সোয়া এগারটার দিকে ওই নাম্বার থেকে আবারও কল দিয়ে ডিসির কথা বলে আরও টাকা দাবী করে। তখন তিনি আরও আরও ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠান। পরে সন্দেহ হলে তিনি ইউএনওর সাথে যোগাযোগ করেন। তখন বিষয়টি প্রকাশ পায়।
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে ব্যবসায়ী তারেককে থানায় অভিযোগ করতে বলেছি।
এ ব্যাপারে তিনি জড়িত নন বলে দাবী করেন ইউপি সদস্য আরু মেম্বার। তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য হাসিল করতে হয়ত কেউ আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা বলছে।
ওসি সাজেদুল বলেন, ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতারক চক্রের সদস্যরা সরকারি কর্মকর্তা, বিশিষ্টজন ও আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা চাচ্ছে। পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে যে কোন লেনদন করা থেকে বিরত থাকতে বলেন তিনি।