সোনগাজীতে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানভুক্ত পলাতক আসামী সাঈদ আনোয়ার ওরফে আনোয়ার হোসেন (২৮) কে গ্রেফতার করেছে ফেনীস্থ র্যাব-৭ ক্যাম্পের সদস্যরা। এসময় তার কাছ হতে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১ টি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি ও ১ টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৭ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ নুরুজ্জামান।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে সোনাগাজীতে অভিযান চালায় র্যাব-৭ সদস্যরা। এসময় বাজারের জিরোপয়েন্টেস্থ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনের রাস্তা হতে পালিয়ে যাবার সময় সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তার কাছ হতে একটি বিদেশী পিস্তলসহ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সাঈদ উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের তিনবাড়িয়া এলাকার মোঃ হানিফের ছেলে।
মোঃ নুরুজ্জামান জানান, সে ২০১৯ সালে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা মামলার আসামী। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্ট তাকে ৪ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন প্রদান করেছিল। জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও ৬টি মামলা বিচারধীন রয়েছে। প্রায় ১৫ বছর আগে একই গ্রামের আহসান উল্লাহর ছেলে নুরুন্নবীকে হত্যার মামলায় তাকে ১০ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে জামিন পায় সে। ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে ছাত্রলীগ হতে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
র্যাব জানায়, স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে সে বহু অপকর্মের সাথে জড়িত। এর মধ্যে সোনাগাজী ডাক বাংলায় হাবিব ব্রাদর্সেও মালবাহী গাড়ীতে ডাকাতি, মহুরী প্রজেক্ট এলাকায় দর্শনার্থীদের প্রবেশে চাঁদা উত্তোলন, যুবলীগ নেতা গবিধনের চোখ উপড়ে ফেলা, পুলিশের উপর, ছাত্রলীগ নেতা রকিব, শামীম, নুরুন্নবী হত্যার সাথে সে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। এছাড়া ২০১৭ সালে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে সোনাগাজী থানা পুলিশ। সে যুবলীগ নেতা নুর আলমের রগ কেটে ফেলে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।
র্যাব-৭ জানায়, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাগাজী থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।