গত আগস্টের শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যায় সবকিছুই ভেসে নিয়ে গেছে। রাত গভীরে আকস্মিক বন্যার পানি কেড়ে নিয়েছে বসতভিটে। তেমনি বন্যায় সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন মুন্সীরহাট ইউনিয়নের সিলোনীয়া নদীর অদূরে কমুয়া গ্রামের বাসিন্দা ভুঞা বাড়ির হোসনে আরা ও কৃষক মকবুলের পরিবার। গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তাদের বিধ্বস্ত ঘর পড়ে রয়েছে।

সরেজমিনে কমুয়া গিয়ে দেখা যায়, ঘরবাড়ি, গুদাম বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে আছে। কিছু ঘরের টিন থাকলেও চারপাশের বেড়া-মাটির দেওয়াল ধসে পড়েছে। পুকুর-মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। মরে গেছে গৃহস্থালি ও খামারের মুরগি। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে গ্রামীণ সড়ক। ফলে মানুষের স্বাভাবিক চলাচলেও বাধা তৈরি হয়েছে। পুঁজি হারিয়ে এখন নিঃস্ব অনেক পরিবার।

ওই দুই পরিবারের সদস্যরা জানান, পানির তোড়ে তলিয়ে যাওয়ায় পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নিয়ে বের হতে পারে নি। এখন কিছুই তো নাই। আমরাই বেঁচে রয়েছি। কমুয়া গ্রামের মৃত আলী নেওয়াজের পুত্র নিঃস্ব কৃষক মকবুল (৬৭) স্ত্রী হালিমা (৫০) কে নিয়ে থাকেন। তার বড় ছেলে কামরুল (৩২) বেকার ও ছোট ছেলে আবু তাহের (১৮) স্কুলে পড়ে। ভেঙে ঘরের দিকে অসহায়ের মতো তাকিয়ে তিনি এ প্রতিবেদকে বলেন, ‘কিয়া কমু, আমি তো একেবারে সবই শেষ হই গেছি। ’

অন্যদিকে হোসনে আরার ঘর জিনিসপত্র সব ভেসে নিয়ে গেছে বন্যার পানি। স্মরণকালের এ ভয়াবহ বন্যায় ৬ দিন পানিতে ডুবে থেকে নষ্ট হয়েছে ঘরের সবকিছু। হোসনে আরা (৫৫) স্বামী আবদুল ওয়াদুদ (৭০) বৃদ্ধ বয়সে জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। জীবনে পড়েছে। এই বৃদ্ধ দম্পতির ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে। মেয়েকে বিয়ে দিলেও দুই ছেলে সিএনজি চালিয়ে কোনরকমে জীবিকা নির্বাহ করেন।

নতুন করে ঘর নির্মাণ করতে পারবেন কিনা এ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তারা।