ফুলগাজীল মুন্সীরহাট দক্ষিণ শ্রীপুর গাবগাছ বাড়ীর বাসিন্দা আবদুল বারেকের ছেলে আবদুল মোতালেব। পিতার মতোই পরিশ্রম করে ৪৮ বছরের মোতালেব সংসারকে টেনে যাচ্ছেন তিনি। স্ত্রী নুরজাহান (৪০) একমাত্র প্রতিবন্ধী বড় ছেলে হৃদয় (২৪) ও অর্থাভাবে পড়ালেখা বন্ধ হওয়া সপ্তদশী মিলিকে (১৮) নিয়ে টানাপোড়েনের সংসার মোতালেবের। বড় মেয়ে মিতাকে (২২) ধারদেনা করে নিজ বাড়িতেই বিয়ে দিয়েছেন।
সহায় সম্বলহীন মোতালেব অন্যের কাজ করে জীবন চালাতে গিয়ে তার উপর যেন নেমে আসে বিভীষিকা। গত ১৭ আগস্ট অসুস্থ হয়ে মোতালেব যখন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঠিক ৫ দিন পরেই সর্বনাশা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় পুরো পরিবার। একদিকে স্বামীর চিকিৎসা অন্য দিকে বন্যার পানির স্রোতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় মোতালেবের স্ত্রী হতদরিদ্র নুরজাহান সন্তানদের নিয়ে প্রতিবেশীর বিল্ডিংয়ের ছাদে এক সপ্তাহ পলিথিন মুড়িয়ে পার করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দৈনিক ফেনীর এ প্রতিবেদককে অসুস্থ মোতালেব ক্ষীণ স্বরে বলেন, বন্যার সময় ছাদের উপরে স্ত্রী নুরজাহান সন্তানদের নিয়ে দুই দিন উপোস ছিলেন। এসময় কর্মহীন অসুস্থ মোতালেবের সন্তানরা তাকিয়ে রয়েছেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে পিতার ছোট ছেলে শ্রমিক মোতালেব জীর্ণদশা ঘরের দিকে তাকিয়ে হয়তো বা চিন্তা করেন ভঙ্গুর এ ঘরটি কিভাবে নির্মাণ করবে। সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগিতা আশা করে মোতালেব।