গল্পগুলো পড়ার পর মনে হতে পারে লেখক জাহাঙ্গীর আলম এতটা ভালো লেখেন কীভাবে? প্রশ্নটা অবশ্যই যৌক্তিক। কারণ একজন পাঠক প্রশ্ন করবেন এটা স্বাভাবিক। মানুষ বরাবরই সৃষ্টির মোহে নিমগ্ন। যেমন নিজের সৃষ্টিকে মাটি থেকে আকাশে উড়াতে যেকেউ ভালোবাসেন। আবার এও বলা যায়, গল্পকার জাহাঙ্গীর আলম তাঁর ভালোবাসা রং বদলায় বইটিতে বেশ ভালোভাবেই শ্রম দিয়েছেন। গল্পকারের বিজয় মুকুট, ভুলের মাশুল, অনন্ত তৃষ্ণা, স্বপ্নের মৃত্যু, প্রায়শ্চিত্ত, অবলম্বন ও অব্যক্ত প্রণয়ের বিষণ্নতা গল্পগুলো পাঠ করলে আমরা টের পাই লেখকের এই যাত্রাপথ কখনোই মসৃণ ছিল না। পৃথিবীর মানুষগুলো কেবল উপদেশ আর দিকদর্শন দিতে জানে। কিন্তু সত্যিকার স্থানটা তৈরি করে দিতে পারেন না কেউ।
গল্পকার জাহাঙ্গীর আলমের ‘ভালোবাসা রং বদলায়’ বইটিকে বলা যায় সময়ের ডাক অথবা বর্তমান সময়ের একটা শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন লেখক। সৃষ্টির কাজগুলো তখনই আনন্দ দেয়, যখন কাজটি সব পাঠক মহলে সাড়াজাগাতে পারে। ভালোবাসা রং বদলায় বইটি নিয়ে লেখক তাঁর পাঠকদের সঙ্গে থাকতে চায়। আপাতত সবার মাথায় থাকুক গল্পকার জাহাঙ্গীর আলমের ‘ভালোবাসা রং বদলায়’ গল্পগ্রন্থটি। পাঠকের ভালো লাগা অবশ্যই ঋদ্ধ করবে এই আশা রাখি।
২০২০ একুশে বইমেলায় বইটি প্রকাশ হয়েছে ‘ভাটিয়াল প্রকাশন’ থেকে। প্রচ্ছদ করেছেন সজীব দেবনাথ। দাম রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা। বইটি একুশে বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লিটলম্যাগ চত্বরের ভাটিয়াল স্টল নাম্বার ২৭, এবং ফেনী একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে।