৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ।। ফেনী ডেস্ক ।।
আঞ্চলিক ও লোকজ গানের ফেনীর ঢোল’র পরিবেশনা মাতিয়েছে দর্শকদের। সুরের তালে তালে নেচেগেয়ে আত্মহারা হয়েছে শ্রোতারা। ৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক ফেনী মুক্ত দিবস ও লোকজ সংগীতের গীতিকার, সুরকার, কন্ঠ শিল্পী মরমী কবি হাসন রাজার ৯৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি। শুক্রবার বিকালে ফেনীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে শুরু হয় তাদের পরিবেশনা। ঢোল, একতারা, দোতারা, বাঁশিসহ নানা দেশীয় সংগীত যন্ত্রের সমন্বয়ে বিমোহিত হয়েছিল র্দশকরা।
অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধান অতিথি ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান, জহুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইফতেখার ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার, ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার জান্নাত আরা যুথি, জহুর ফাউন্ডেশনের পরিচালক জাহানারা লাইজুসহ সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক নেতা কর্মী, ফেনীর গুণীজনরা।
প্রধান অতিথি নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে ফেনীর ঢোল এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবসময় সুস্থ ধারার সংস্কৃতির সাথে ও পাশে আছি। ফেনীর আঞ্চলিক ও লোকজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে এবং সংরক্ষণে ফেনীর ঢোলকে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন ফেনীতে সুন্দর পরিবেশ আছে বলেই মানুষ সুন্দর অনুষ্ঠান উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে। এজন্য তিনি স্থানীয় সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ফেনীর ঢোল এর শিল্পীরা গভীররাত পর্যন্ত আঞ্চলিক ও লোকজ গানের মূর্চ্ছনায় হাজার হাজার দর্শক মাতিয়ে রাখে। ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ঐতিহ্যের সাথে শেকড়ের বুনন থিম্ শ্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল আঞ্চলিক ও লোকজ গানের চর্চা কেন্দ্র ফেনী’র ঢোল।