২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যার ক্ষতির রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরশুরাম উপজেলার মানুষ। বন্যার প্রায় ১১ মাস শেষ হলেও সড়ক-সেতু ও পোলগুলো মেরামত করা হয়নি।

উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের উত্তর চারিগ্রাম সড়কটি কয়েক গ্রামের মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম। এই সড়কটির মাঝে আজিজ উল্লাহ মাস্টারের বাড়ির পাশে পোলটি ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের বন্যায় ভেঙে গেছে। মাঝখানের স্লাবসহ পুরো পোল ধসে পড়েছে। স্থানীয়রা যাতায়াতের জন্য বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মানুষ চলাচলের জন্য কোনরকমে মেরামত করেছেন।

সরেজমিনে জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে উত্তর চারিগ্রাম,দক্ষিণ চারিগ্রাম,উত্তর কেতরাঙ্গা, দক্ষিণ কেতরাঙ্গা, জমিয়ার গাঁও, নরনিয়া কাটাবিল ও মোহাম্মদপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করতো। বন্যার ১১ মাস পরেও ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। চারিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খন্ডল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, খন্ডলহাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলা ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে না পেরে, সাহেবের বাজার,বক্সমাহমুদ ও গুথুমা সড়কে দীর্ঘপথ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। খন্ডলহাই, সাহেবের বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা, সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা পোলটি মেরামত না করায় দুর্ভোগে রয়েছেন।

বন্যার পর স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এলজিইডি কার্যালয়ে আবেদন দিলেও পোলটি মেরামতে কোনো সাড়া মেলেনি।

উপজেলাএলজিইডি অফিস সূত্রে জানায়, খন্ডলহাই কালির বাজার-বাগমারা সড়কের ৮ মিটার দীর্ঘ পোলটি পুন:নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বরাদ্ধ তালিকায় দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মসজিদের ইমাম মাওলানা কাজী আতিকুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসী ও ছাত্রছাত্রীদের স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের ছাউনি দিয়ে পোলটি মেরামতের চেষ্টা করা হয়েছে। এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী এসএম শাহ আলম ভূঁইয়া জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙা সড়ক ও সেতু মেরামতে কয়েক দফায় বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।বরাদ্ধ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পোলটির পুন:নির্মাণ কাজ করা হবে।