ফেনীর পরশুরামে পৃথক দুটি ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় এক শিশুকন্যা ও এক গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন এক চা দোকানি এবং এক সিএনজি চালক। উভয় ঘটনারই তদন্ত চলছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
চা দোকানির বিরুদ্ধে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
শনিবার (১৭ মে) সকালে পরশুরাম পৌরসভার দক্ষিণ কোলাপাড়ায় ৫ বছরের এক শিশুকে চুইংগাম ও চকলেটের লোভ দেখিয়ে দোকানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় চা দোকানি নিজাম উদ্দিন আওলিয়া (৫৫)। অভিযুক্ত নিজাম উদ্দিন স্থানীয় ঘিনাগাজী মজুমদার বাড়ির মৃত সুজা মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দোকানের শাটার বন্ধ করে দিয়ে মেয়েটির পোশাক খুলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় অভিযুক্ত। তবে দোকানের আশপাশে লোকজনের চলাচল থাকায় সে সময় শিশুটিকে ছেড়ে দেয় এবং ঘটনাটি কাউকে না বলতে হুমকিও দেয়। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে তার মা ঘটনাটি জানতে পারেন এবং রাতেই পরশুরাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তকে রাতেই গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।
সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
এর একদিন আগে, শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় পরশুরামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সিএনজি চালক মো. রাসেল (৩৫)। অভিযুক্ত রাসেল দক্ষিণ গুথুমার শান্তি কলোনির আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা এবং আবু তাহেরের ছেলে।
ভুক্তভোগী জানান, স্বামীর পাঠানো সিএনজিতে পরশুরাম বাজারে পৌঁছানোর পর রাসেলের চালিত একটি অন্য সিএনজি রিজার্ভ করে কাউতলী গ্রামের বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাসেল তাকে জানায় তার বাড়ি পথে এবং কিছু জিনিস রেখে তাকে পৌঁছে দেবে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ঘুরিয়ে সন্ধ্যায় সিলোনিয়া নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে সিএনজি থামিয়ে জোর করে নামানোর চেষ্টা করে। এরপর গৃহবধূর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তাকে উদ্ধার করে এবং চালক রাসেলকে ধরে ফেলে। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ও সিএনজি জব্দ করে।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম দুই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।