পরশুরামে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে ওমর ফারুক (২৫) ও আব্দুল মুনাফ আলমগীর (২৪) নামে চাচা সম্পর্কীয় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই কিশোরীর বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার করে গতকাল বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম।

গ্রেফতারকৃতদের বাড়ি উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের দক্ষিণ কেতরাঙ্গা গ্রামে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী ৭ মাসের অন্তঃস্বত্তা বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

পুলিশ, মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মার্চ দুপুরে ওই কিশোরী স্থানীয় কলোনী থেকে দুধ আনতে যেয়ে পাশের বাড়ির বাগানে আম কুড়াতে যায়। সেখানে ওমর ফারুক ও আব্দুল মুনাফ আলমগীর মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ওই কিশোরীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় তারা। কিছুদিন পর ওই কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে তার পরিবার ঘটনার ব্যাপারে জানতে পারে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সে অন্তঃস্বত্তা বলে নিশ্চিত হতে পারে পরিবার। স্থানীয়ভাবে ইউপি সদস্য ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও তারা ব্যর্থ হয়।

এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা গতকাল বুধবার পরশুরাম মডেল থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে তাদের দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কিশোরীর বাবা বলেন, আমি মুখ দেখাতে পারছি না। আমার অবুঝ মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমি এর সুবিচার চাই।

থানার ওসি জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীকে পুলিশের হেফাজতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।