পরশুরামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত অব্যাহত রেখেছে গ্রামবাসী। এবারের বন্যায় উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার গ্রামীণ সড়কগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাফেরা ও যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তবে থেমে থাকেননি পরশুরামের মানুষ।

জানা গেছে, রউপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মেলাঘর, ডিএম সাহেবনগর, মির্জানগর ও রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের কবরস্থান সড়কটি বন্যায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে চার গ্রামের কয়েকশ মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি পুননির্মাণ কাজ শুরু করেন।

নিজেরা টাকা তুলে ভাড়া করেন একটি এস্কেভেটর মেশিন। যেটি সড়কের পাশ থেকে মাটি তুলে দিচ্ছিল, প্রচন্ড গরমের মধ্যেও গ্রামবাসী মাটিগুলো সড়কে সংস্কার করছিল। তাদের উৎসাহ দিতে সেখানে উপস্থিত হন ফেনী জেলা আইনজীবি সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা নগরিক ফোরামের সভাপতি এড. এমদাদ হোসাইন, মির্জানগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাও. নুর মোহাম্মদ, ছাত্রশিবিরের ফেনী শহর শাখার সভাপতি শরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাজুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে আমাদের চার গ্রামের কবরস্থানের সড়কটি নষ্ট হয়ে গেছে। আপাতত সড়কটিতে চলাচল উপযোগী করতে গ্রামের মানুষ কাজ করছে।

এদিকে বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের জমিয়ারগাঁও ও বাগমারা গ্রামের মানুষ রাজেন্দ্র বৈদ্য সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত এক কি.মি রাস্তা স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছেন। গত শুক্রবার থেকে দুই গ্রামের মানুষ সড়কটিতে মাটি ভরাট করে ইট বসিয়েছেন। পানি চলাচলের জন্য সড়কের মাঝখানে ১০ মিটার দুরত্বের একটি কালভার্টও তৈরি করছেন তারা। এর জন্য ব্যায় হচ্ছে ৬০ হাজার টাকা। বৃদ্ধ, শিশু ও তরুণরা সাচ্ছন্দ্যে এসব কাজ করে যাচ্ছেন।

জমিয়ার গাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও পদ্মা এলপিজি লিমিটেডের সিনিয়র রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম জানান, জমিয়ার গাঁও ও বাগমারা গ্রামের মানুষ সেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামতের কাজটি করছেন। গ্রামের মানুষ ও আমার পরিচিত অনেকেই আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।

এর আগে পরশুরাম-সুবার বাজার সড়ক, পশ্চিম সাহেব নগর সড়ক, ফকিরের খিলসহ বিভিন্ন সড়ক মেরামত ও জয়চাঁদপুর গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে সাকো নির্মাণ করেছে গ্রামবাসী।