করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কনস্টেবল মামুন উদ্দিন আক্রান্তই ছিলেন। নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে বলে জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ- কমিশনার (জনসংযোগ) আবু বক্কর সিদ্দিক।


তিনি বলেন, মৃত্যুর পর কনস্টেবল মামুনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ( ৪ জুন) তার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।


গত ১ জুন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) শাখায় কর্মরত কনস্টেবল মামুন (২৮)। তার বাড়ি ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজ কালিকাপুর গ্রামে। তার বাবা মৃত আবু তাহের ছিলেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও একজন মুক্তিযোদ্ধা।


চট্টগ্রাম নগর পুলিশের জনসংযোগ শাখা সূত্রে জানা যায়, জ্বর সর্দি হওয়ায় কনস্টেবল মামুনকে গত ২৬ মে থেকে সিএমপি স্কুলে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ২৯ মে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ১ জুন সকালে তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে তার মৃত্যু হয়।


ওইদিন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় পুলিশ কমিশনারসহ সিএমপি'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশ নেন। এসময় তার মরদেহের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করা হয়। পরে সিএমপির ব্যবস্থাপনায় তার লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। সেখানে পরশুরামের দাফন কার্যে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক দল প্রধান ইয়াসিন শরীফ মুজমদারের নেতৃত্বে গ্রামের বাড়িতে বাবার কবরের পাশে তার লাশ দাফন করা হয়।


মামুন ২০১২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। মুক্তিযোদ্ধা মৃত আবু তাহেরের চার সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। তার সানজিদা তাবাসসুম মিম নামে দুবছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। মাত্র তিন বছর আগে একই গ্রামের শামসুন নাহার লুবনাকে বিয়ে করেন তিনি। তার বড় ভাইও মারা গেছেন।