ক্রিকেট বলের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে কিংবা সুইং পেতে বোলার থুতু, লালা ব্যবহার করতে পারবেন না। ব্যক্তিগত ক্রিকেট সরঞ্জাম ক্যাপ, সানগ্লাস, সুয়েটার বোলার সতীর্থ কিংবা আম্পায়ারের কাছে রাখতে পারবেন না । মাঠেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, ড্রেসিংরুমের ব্যবহার রাখতে হবে সীমিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে ফিরলে অনুসরণ করতে হবে আইসিসির দেয়া নতুন গাইডলাইন। আইসিসির প্রস্তাবিত সুপারিশ অনুমোদন পেলে বদলে যাবে ক্রিকেটের অনেক কিছুই।

তবে অসন্তোষ প্রকাশ করছে একাধিক খেলোয়াড়। ক্রিকেট তার জৌলুস হারাবে বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। এতে ক্রিকেটটাই বিরক্তিকর হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন এ গতি দানব। তবে তিনি পরামর্শও দিয়েছেন। মোম ব্যবহার করে বল তৈরীর কথা বলছেন তিনি। এসব কথা বলেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।


সোমবার প্রকাশিত এ সুপারিশ গাইডলাইন সংশ্লিষ্ট সরকার ও জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট গাইডলাইনের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবহার করতে বলেছে আইসিসি। এসব তথ্য তারা ওয়েব সাইটেও প্রকাশ করছে। জুনে আসবে চুড়ান্ত অনুমোদন।


কভিড-১৯ মহামারীর কারণে মার্চের পর থেকেই কার্যত বন্ধ আছে সব ধরনের ক্রিকেট।


নতুন এই 'আইসিসি ব্যাক টু ক্রিকেট' নামের এ গাইডলাইনে বলা হচ্ছে, এমন একটি প্রক্রিয়ার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হবে, যাতে করে বোলাররা তার সরঞ্জামাদি নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।


এতে আরও বলা হয়, বলের সংস্পর্শে এলেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। বল স্পর্শ করার পর চোখ, নাক ও মুখে হাত দেওয়া যাবে না। বলে থুতু বা লালা ব্যবহার করা যাবে না।


এছাড়াও উল্লাস প্রকাশে শারীরিক সংস্পর্শ এড়ানো, একজনের বোতল বা তোয়ালে অন্যজন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেছে আইসিসি।


খেলোয়াড়দের অনুশীলনে একাধিক ধাপ অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে আইসিসি। নিজ নিজ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী অনুশীলন সম্ভব হলে প্রথম ধাপে ৩ জনের কম, এরপর ১০ জনের কম, এরপর পুরো দলকে ধাপে ধাপে অনুশীলন করতে বলেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।


তারা বলছে, সরকারের নীতি অনুযায়ী ভ্রমণে কড়াকড়ি না থাকলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের আগে সম্ভব হলে ১৪ দিনের আইসোলেশন এবং পুরো দলের কভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে।