৪ জানুয়ারী ২০২০ ।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ফেনীর পশ্চিম ছাগলনাইয়ার বাঁশপাড়ায় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সাত মন্দির বা সাত মঠ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। আজ শনিবার (৪ জানুয়ারী) সকালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমানের নেতৃত্বে মন্দিরগুলোতে পরিষ্কার পরিছন্নতা অভিযান ও ডকুমেনন্টেশনের কাজ করা হচ্ছে।
ড. আতাউর রহমান বলেন, এসব প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনগুলো আগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও উদ্ধার করা দরকার। তারপর প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর দূর্দশার অবস্থা তুলে ধরা হবে। আজকের পরিকল্পনা হচ্ছে পরিষ্কার-পরিছন্নতা করা। তা শেষ হলে ডকুমেন্টেশনের ও প্রাক্কলনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করা হবে। তিনি বলেন, সাত মন্দির একটি বিশাল জায়গা।
তিনি আরও বলেন, এসব নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করা না গেলে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো হারিয়ে যাবে। তাই এসব নিদর্শন সংরক্ষণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। তাই আমি নিজে আজ আমার টিম নিয়ে মন্দিরগুলোতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে চলে এসেছি।
এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ড. আতাউর রহমানসহ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের একটি টিম ছাগলনাইয়ার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যান।
এসব নিদর্শন সংরক্ষণের ব্যাপারে অধিদপ্তরের পরিচালক জানান, সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ছাগলনাইয়ার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর সংস্কার ও উন্নয়নে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। প্রস্তাবনার অর্থ বরাদ্দ পেলে প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর নির্মাণ, পর্যটকদের জন্য শমসের গাজী দীঘি ও কৈয়ারা দীঘির ঘাট সংস্কার, চারপাশে চলাচলের পাথওয়ে নির্মাণসহ ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণে পদক্ষেপ নেবে অধিদপ্তর।
প্রস্তাবনার ব্যাপারে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করি শীঘ্রই মন্ত্রণালয় সাড়া দেবে।
ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর করুণ অবস্থা দেখে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, বিগত বহু বছর ধরে নিদর্শনগুলো সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। এ ব্যাপারে কেউ কোন উদ্যোগ নেয় নি। এসব নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মাঠে নেমেছে।
ফিল্ড অফিসার শাহীন আলম, গবেষণা সহকারি ফারুক রুবেল, সার্ভেয়ার চাই থু ওয়াই মারমা, ফোরম্যান অনয় মোহন্ত ছাড়াও স্থানীয় কাউন্সিলর মোজাহারুল ইসলাম মুছা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অধিদপ্তরের আরও ১০ জন কর্মী এতে অংশ নিয়েছেন।