ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ধান কিনতে ছাগলনাইয়ায় এসে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন আবদুল হানান (৫৫) নামে এক ধান ব্যবসায়ী। বুধবার (২৬ নভেম্বর) ছাগলনাইয়ার মুহুরীগঞ্জে রেললাইন পার হওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল হান্নান ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে আবদুল হান্নান ও কুমিল্লার বরুরা এলাকার তার ব্যবসায়ীক অংশীদার বিষ্ণু পদ সাহা একত্রে পায়ে হেঁটে মুহুরীগঞ্জের রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এসময় একটি চলন্ত ট্রেনের সাথে ধাক্কা লাগে আবদুল হান্নানের। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিষ্ণু পদ সাহা জানান, আবদুল হান্নান ও তিনি একসাথে ধানের ব্যবসা করতেন। মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ এলাকা থেকে ধান কেনার পরিকল্পনা ছিলো তাদের। সেজন্য তারা দুজন মঙ্গলবার রাতে ছাগলনাইয়া পৌরসভার পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামে এক স্বজনের বাসায় রাত কাটান। পরের দিন সকাল ৮টার দিকে জোরারগঞ্জ যাওয়ার পথে মুহুরীগঞ্জ রেললাইন পার হওয়ার সময় দুই দিক থেকে দুই ট্রেন ক্রসিংয়ের সময় আবদুল হান্নান হঠাৎ সামনের থেকে হাঁটতে লাগলে চট্টগ্রামগামী চলন্ত ট্রেনের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে ছাগলনাইয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতান মোহাম্মদ আদনান জানান, সকাল সাড়ে ৯ ঘটিকায় খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে যায়। পরে রেলওয়ে পুলিশের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়। ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই তরুন জানান, লাশ ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
নিহত আবদুল হান্নানের ছোট ভাই মোবারক হোসেন জানান, ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি লাশ বুঝে নিতে ফেনী এসেছি। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, তার মৃত্যু এভাবে লিখা ছিলো তাই হয়তো এখানে মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ লাশ বুঝিয়ে দিলে গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে দাফন করা হবে।
মৃত ধান ব্যবসায়ী আবদুল হান্নানের মা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
