ছাগলনাইয়ায় নির্মাণাধীন একটি সরকারি ভবনের রড কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ভবনের পঞ্চম তলার ছাদ নির্মাণ কাজ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি অরক্ষিত ভবনটি এখন মাদকসেবিদের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। এসব ব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ছাগলনাইয়া-ফেনী সড়কের পাশে পৌর এলাকার বাঁশপাড়া মৌজায় সরকারি পলিটেকনিক কমপ্লেক্স ভবনটির পাঁচ তলার বরাদ্দ প্রদান করা হলেও চার তলার ছাদ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে বিশাল আয়তনের পলিটেকনিক কমপ্লেক্সটি অরক্ষিত হয়ে পড়ে। ফলে ভবনটি এখন মাদক কারবারিদের জন্য নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। নির্মাণাধীন ভবনটিতে অন্তত দুই শতাধিক কলাম রয়েছে। প্রতিটি কলামে ২০ এমএম সাইজের ৮-১০টি রড রয়েছে। কাজ বন্ধ হওয়ার পর থেকে পঞ্চম তলার ছাদ নির্মাণের জন্য কলামে থাকা রড কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাঁশপাড়া ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার পতনের পর এ ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে। কাজ বন্ধ হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের লোকজন ও আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়ার পর থেকে ভবনটি অরক্ষিত হয়ে আছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অবহেলা ও নজরদারি না থাকায় প্রতিদিন ভবনের চার তলার ছাদের উপরের কলামে থাকা রডগুলো কে বা কারা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। মাদক কারবারিদের আনাগোনা দেখে স্থানীয়রা পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করার পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

আবদুল হাই নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু হলে ভবনটি সুরক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি চোর ও মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম্য কমবে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের এ নিয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

ফেনী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (অ. দা.) খন্দকার নাজমুল ইসলাম দৈনিক ফেনীকে জানান, ভবনটির নির্মাণ কাজ বন্ধ ঘোষণা করার পর থেকে জনবল সংকটের কারণে তদারকি করা সম্ভব হয়নি। অবশিষ্ট কাজ শেষ করতে দরপত্র প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার জানান, সেখানে মাদকসেবন হয় এমন অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবল চাকমা জানান, সরকারি সম্পদ কারা চুরি করছে সেটি তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মাদকের বিষয়টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে অবহিত করা হবে।