ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর ইউনিয়নের পাঠানগড় সুলতান হাজী বাড়ীর শেখ ফরিদের (৪২) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে নিজের ঘর হতে ফরিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই বাড়ির মৃত নজির আহাম্মদের ছেলে।
এদিকে শেখ ফরিদের ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান জানান, ফরিদকে গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সর্বশেষ দেখতে পান। শুক্রবার আসরের নামাজের পর বাড়িতে দুর্গন্ধ ছড়ালে ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে ভাইয়ের লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসয় নিহত ফরিদের ঘরে ছিল না কেউ। একইসময় ফরিদের মা ও ছোট ভাইয়ের পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না।
ফরিদের মরদেহ উদ্ধারের সময় নিহতের মাথার পাশে থাকা একটি দা ও একটি বটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা ছাগলনাইয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাফিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, দা ও বটি মরদেহের পাশে মেঝেতে পেয়েছি এবং সেগুলো আমরা আলামত হিসেবে জব্দ করেছি।
তিনি জানান, লাশ মেঝেতে পড়ে থাকলেও তার মৃত্যু খাটের ওপর হওয়ার আলামত দেখেছি। মৃত্যুর সময় মেঝেতে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসআই রাফিদুল ইসলাম জানান, মরদেহে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ সময় মরদেহ পড়ে থাকায় চামড়া খসে পড়তে শুরু করেছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার রাতে মাহফুজুর রহমান জানান, শেখ ফরিদের ঘরের দরজা জানালা ভেতর থেকে বন্ধ থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। তবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত।
ফরিদের মৃত্যুর কারণ প্রসঙ্গে তার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারের ধারণা করে বলেন, অতিরিক্ত মাদকসেবন অথবা মৃত্যু ঘটতে পারে এমন কিছু খাওয়ার কারণে ফরিদের মৃত্যু হতে পারে। তবে এমন ধারণার সত্যতা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
