১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ।। ছাগলনাইয়া সংবাদদাতা ।।


ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়নের সমিতি বাজারে শনিবার দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় আতংক কাটেনি ঘোপালের সমিতি বাজারে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।


বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে বেশিরভাগ দোকানপাট এখনও বন্ধ রয়েছে। বাজারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আতংক বিরাজ করছে স্থানীয় ব্যবসায়ী এলাকাবাসীদের মনে।


বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন বাহার জানান, এ ঘটনায় তিনদিন যাবত সমিতি বাজারে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।


স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, দরকারি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর ছেড়ে বের হচ্ছে না। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।


নিহতের সিরাজের পিতা আবদুল কাদের সিরাজ হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান। তিনি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।


ঘোপাল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা এসআই মোঃ শহীদ জানান, বাজারে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করছে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


এলকাবাসীরা বলেন, অযথা রক্তপাত কারো কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হত্যাকান্ড সংঘটিত হবার পর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও শান্তি বজায় রাখার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছেন সেজন্য এলাকাবাসী তাদের নিকট কৃতজ্ঞ। আশা করি অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।


ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুলফিকুল সিদ্দিকী বলেন, হত্যাকান্ডে ও মামলার এজাহারে বর্ণিত আসামীরা স্থানীয় চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিকের দেহরক্ষী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিক এ ঘটনার মূলহোতা। তার সহযোগীরা সিরাজকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে।


অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিক দাবী করেন, তিনি বা তার লোকজন এ হত্যাকান্ডে জড়িত নন।


এ ঘটনায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে নিহত সিরাজুলের বাবা আবদুল কাদের বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নজরুল ইসলাম (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার নজরুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিকের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে সিরাজুল ইসলাম নিহত হয়। এ ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়।