ছাগলনাইয়ায় পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে জাহেদা বেগম নামক এক নারীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গত (১৫ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটেছে ছাগলনাইয়া পৌরসভার মধ্যম মটুয়া নিজাম উদ্দিনের বাড়ীতে। এ বিষয়ে জাহেদা বেগমের স্বামী ফয়েজ আহাম্মদ বাদি হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ এপ্রিল দুপুরে জাহেদা বেগম তার ছোট বোনের স্বামী মো: নিজাম উদ্দিনের (৪০) নিকট পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে নিজাম উদ্দিনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন একত্রিত হয়ে জাহেদাকে লাঠি ও লোহার রড় দ্বারা আঘাত করে। এছাড়াও জাহেদার গলায় থাকা দশ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের হার ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। পরে আহত অবস্থায় জাহেদাকে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
জাহেদা আক্তারের দাবি, নিজাম উদ্দিন তার নিকট থেকে চার লাখ টাকা ধার নিয়ে দিচ্ছে না। পাওনাকৃত টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাকে নিজাম ও তার সহযোগিরা মারধর করে।
অন্যদিকে বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে নিজাম উদ্দিন বলেন, আমাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে জাহেদা আক্তার তার স্বামী ফয়েজ আহাম্মদ, ছোট ভাই জাহেদ হোসেন, মা আলেয়া বেগমসহ কয়েকজন একত্রিত হয়ে আমার বাড়ীতে এসে বসতঘর ভাংচুর করে এবং আমাকে মারধর করে।
পাওনা টাকার বিষয়ে নিজাম জানান, আমি আমার বায়েরা ফয়েজ আহাম্মদের নিকট থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যবসায়ীক কাজে ধার নিয়েছিলাম। এর পরিবর্তে ছাগলনাইয়া জমদ্দার বাজারের মাংস হাটে আমার একটি দোকান বায়েরা ফয়েজকে দিয়েছি। সেই দোকানের গত দুই বছরে ব্যবসায়ীক লাভ হিসেবে আমি তার নিকট সাত লাখ টাকা পাবো। একই ঘটনায় জাহেদ হোসেন বাদি হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু নোমানকে জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।