পল্লী বিদ্যুতের নিয়মিত বিল পরিশোধ থাকলেও চারদিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করেছে ছাগলনাইয়ার দুই পরিবার। পরে বিদ্যুৎ অফিসে গেলে ছাগলনাইয়ায় জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ জানে আলম জরিমানা হিসেবে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা দাবি করেন। এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী রাহেনা আক্তার ও আবদুল মন্নান টিপু। তারা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিয়াজী বাড়ীর বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ চালাচ্ছি এবং বিলও নিয়মিত পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু গত ১৯ নভেম্বর বিদ্যুৎ অফিসের কয়েকজন লাইনম্যান এসে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ সংযোগ দুইটি বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং অফিসে যোগাযোগ করতে বলে। পরে স্থানীয় এক সমাজকর্মী সহায়তায় জরিমানা কমিয়ে ৩০ হাজার ৫শ ৬৪ টাকা করা হয়।
বিষয়টি ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলকে অবহিত করলে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দুইটি পুনঃস্থাপনে ভূমিকা নেন।
এ বিষয়ে ডিজিএম মোঃ জানে আলম বলেন, একই ভবনে তিন ভাই আলাদা আলাদা ইউনিটে বসবাস করছে। দুই ভাইয়ের ইউনিটে বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও অন্যজন বিদ্যুৎ সমিতির লাইন থেকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করায় ভবনটির সকল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
দুইজন গ্রাহক অন্যায় না করেও ভোগান্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি কোন বিল্ডিংয়ে একজন গ্রাহক অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করে তবে উক্ত ভবনের সকল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আইন রয়েছে। কারণ অবৈধ ব্যবহারকারীর তথ্য অন্যরা আমাদের জানায়নি।
এজিএম (কম.) মোঃ মাহমুদুল হাসান জানান, একই ভবনে যদি একশ পরিবার বসবাস করে এবং সকলেই পৃথক পৃথক বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করে তাদের মধ্যে একজন গ্রাহকও যদি অবৈধ হয় তবে তার জন্য সকল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা আইনে রয়েছে।
অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে নিরপরাধ দুইজন গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাদের নিকট থেকে জরিমানা দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একই ভবনে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে তাই দিতে হবে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, হয়রানির প্রতিবাদ করায় তাদের স্বজন লিটন ও আনোয়ারের উপর চওড়া হয়ে মামলা দেয়ার হুমকি দেয় এজিএম মোঃ মাহমুদুল হাসান। তারা দাবী করেন এজিএম তাদের অপমানিত করেছে এবং পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ আর দেয়া হবে না বলেও হুমকি প্রদান করে।
রাহেনা আক্তার জানান, শেষে বিশ হাজার টাকা জরিমানা গুণে ভুক্তভোগী দুই পরিবার।