ছাগলনাইয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওটি (অপারেশন থিয়েটার) এটেনডেন্ট নুরুল করিম সোহেলের বিরুদ্ধে ‘ভুল চিকিৎসার’ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী ইসরাত জাহান (২০) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ইসরাত জাহান ফেনী সরকারী কলেজে অনার্স (গণিত) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের কন্যা।
লিখিত অভিযোগে ইসরাত জাহান উল্লেখ করেন, আমার ডান হাতের আঙ্গুলে একট আঁচিল থাকায় তার চিকিৎসার জন্য গত ১৫ অক্টোবর বিকালে হাসপাতালে এসেছিলাম। এসময় হাসপাতালে কর্তব্যরত ওটি এটেনডেন্ট নুরুল করিম সোহেল টাকার বিনিময়ে অপারেশন করে আঁচিলটি অপসারণ করে। তিনদিন পর আঙ্গুল ড্রেসিং করাতে এলে তিনি কোন রকমে ব্যান্ডেজ করে দেন। সাতদিন পর পুনরায় ড্রেসিং করাতে এলে আমার আঙ্গুলের ক্ষত শুকানোর আগেই সেলাই কেটে দেন। পরে আমার আঙ্গুলের অবস্থার অবনতি ঘটলে ফেনীতে একজন অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞকে দেখালে তিনি আমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির পরামর্শ দেন।
ইসরাত জাহান দৈনিক ফেনী’র প্রতিবেদককে জানান, চিকিৎসক বলছেন হয়তো আমার আঙ্গুলটি কেটে ফেলতে হতে পারে। সারাক্ষণ আমার আঙ্গুলে অসহনীয় যন্ত্রণা করছে।
ইসরাতের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, ভুল চিকিৎসার ফলে আমার মেয়ে খুব কষ্ট করছে। তার চিকিৎসায় এ পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকা খরচ করেছি। তিনি বলেন, আমি একজন হত দরিদ্র মানুষ। আমার পক্ষে উন্নত চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওটি এটেনডেন্ট নুরুল করিম সোহেল অপারেশন করার বিষয়টি স্বীকার করেন। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যারেরা বিষয়টি দেখছেন। তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।
অভিযোগের ব্যাপারে হাসপাতালের টিএসও ডাঃ মোঃ শিহাব উদ্দিন জানান, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য তিনজন ডাক্তারের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।