ছাগলনাইয়ায় বালু নিয়ে আধিপত্য বিস্তারে দাউদ-ফারুক ও ডলফিন গ্রুপের দ্বন্দ্বের বলি হলেন মোঃ জামশেদ আলম (১৯) নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। নিহতের বাবা দিল মোহাম্মদের অভিযোগ, স্থানীয় দাউদ-ফারুক গ্রুপের হামলায় নিহত হয় জামশেদ। তিনি জানান, আহত জামশেদকে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ভোরের দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একই এলাকার হাসান (১৮) ও রিয়াদ (১৮) নামে দুই যুবক আহত হয়েছে। তারা ডলফিন গ্রুপের সদস্য।
আহতরা জানায়, বুধবার রাতে বালু মহালের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে জয়পুর গ্রামে উভয় গ্রুপের মধ্যে সালিশি বৈঠক বসেছিল। বৈঠকে মনমালিন্য হওয়ায় ডলফিন গ্রুপের সদস্যদের সাথে দাউদ-ফারুক গ্রুপের তর্কাতর্কি ও একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
তারা জানান, বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার দিকে আমরা জামশেদের সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে মুহুরিগঞ্জ সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে গাড়ীতে গ্যাস ভর্তি করে এলাকায় ফিরছিলাম। পথিমধ্যে হাজী স্টোরের রাস্তার সামনে দাউদ গ্রুপের ১০/১২ যুবক ব্যারিকেড দিয়ে গতিরোধ করে আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় জামশেদ মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। হামলায় অংশ নেয়া যুবকদের মধ্যে দাউদ, ফারুক, আরাফাত, তানিম ও মাঈন উদ্দিন ছিল।
আরও তথ্য পেতে দাউদ ও ডলফিন কাউকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
জামশেদের বড় ভাই হারুনুর রশিদ জানান, স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তীতে ফেনী জেনারেল হাসাপাতালে নেয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়ার পথে আজ ভোরের দিকে সে মারা যায়। তিনি আবেগ জড়িত কণ্ঠে দাবি করেন, আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। ঘটনার সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে ও জড়িতদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, জামশেদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।