শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সেপ্টেম্বরে স্কুল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি এবং নানা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিলো। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেপ্টেম্বরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এর মধ্যেই স্কুল খুললেই নানা পরিকল্পনার মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে স্কুল খুললে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পিইসি পরীক্ষা হবে। অক্টোবর-নভেম্বরে খুললে নিজ নিজ স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা এমসিকিউ ৫০ নম্বরের ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হবে। ডিসেম্বরে খুললে অটোপাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রস্তাব প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে রোববার (১৬ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হবে।
এর আগে, ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নেয়া সম্ভব হচ্ছে না এইচএসসি পরীক্ষাও। অফিস আদালত খুলে দেয়া হলেও এখনো অনিশ্চিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি।
এ অবস্থায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট-বেডু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৩৯ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষের দিকে। এ অবস্থায় খুব দ্রুত নিতে হবে সিদ্ধান্ত। সুপারিশগুলোকে শেষ মুহুর্তের যাচাই বাছাই করে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, 'কোন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে কি হবে তার একটা ড্রাফট আমাদের দিয়েছে। সেই মতামতগুলোকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।'
জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও নিয়ম প্রযোজ্য হবে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কমপক্ষে ১ মাস সময় নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সূত্রঃ সময় টিভি