৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ।। ফেনী ডেস্ক।।


এবারের জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) ও প্রাইমাীর স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলাফলে পাশের হারে জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সোনাগাজীর শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) ঘোষিত ফলাফলে এ উপজেলা হতে জেএসসিতে শতকরা ৯৬ ভাগ ও পিএসসিতে শতকরা ৯৯.১৭ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। আর জেএসসি ও পিএসসিতে জেলার সর্বনিম্ন পাশের হার ফুলগাজীতে। জেএসসিতে এ উপজেলায় পাশের হার ৮০.৪৩% এবং পিএসসিতে ৯৫.৪৫%।


জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেএসসি পরীক্ষায় জেলা থেকে ২৪ হাজার ৭শ ৭১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ২২ হাজার ২শ ৪৬ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। ফেনীতে জেএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪১১ জন শিক্ষার্থী। ৯০.১২ পাশের হার নিয়ে কুমিল্লা বোর্ডে ৩য় স্থানে রয়েছে ফেনী জেলা। এছাড়া এ জেলায় শতভাগ পাস করেছে ২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।


ফলাফলের দিকে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে আছে মেয়েরা। ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ ও ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ফলাফলের শীর্ষে রয়েছে। বালিকা বিদ্যালয়ে ২৮৯ শিক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। অন্যদিকে গার্লস ক্যাডেট কলেজের ৫৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ৫ অর্জন করেছে ৫৩ জন। ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩১৯ জন। পাশের হার ৯৯.৬৯। জিপি-৫ পেয়েছে ৫৫ জন। এছাড়া শাহীন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজে শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।


পাশের হারে (৯৩.১৩%) জেলার দ্বিতীয় স্থানে আছে ছাগলনাইয়া উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ২ হাজার ৯শ ১৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২ হাজার ৭শ ১৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। তার মধ্যে ১৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে।


পাশের হারে (৯১.১৯%) তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফেনী সদর উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ৯ হাজার ৬শ ৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৮ হাজার ৮শ ১২ জন পরীক্ষার্থী পাশ করে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৫৭ জন। এছাড়া এ উপজেলার ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।


পাশের হারে (৯০.৮১%) চতুর্থ স্থানে রয়েছে পরশুরাম উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ১ হাজার ৫শ ৫৭জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১ হাজার ৪শ ১৪ জন পাশ করে। তার মধ্যে ১১জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পায়।


পাশের হারে (৮২.৯২%) পঞ্চম স্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ৪ হাজার ৮শ ৪৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করে ৪ হাজার ১৭ জন। জিপিএ ৫ পায় ৫০ জন।


ফুলগাজীতে ১ হাজার ৮শ ৭১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১ হাজার ৫শ ৫ জন শিক্ষার্থী পাশ করে। এর মধ্যে ১৩ জন জিপিএ ৫ পায়।


অন্যদিকে জেডিসিতে জেলার ৬ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৬ হাজার ১শ ৮৩ জন। পাশের হার ৯৪.১৭%। জেডিসিতে ২৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ অর্জন করেছে।


জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সলিম উল্লাহ বলেন, গতবারের তুলনায় এবার ফলাফল ভালো হয়েছে। বছরের প্রথম দিনে সরকারের বিনামূল্যে বই বিতরণের কারণে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীর ঝড়ে পড়া কমেছে। আমাদের প্রত্যক্ষ নজরদারিতে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান বেড়েছে। স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব প্রশ্ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যেন বাইরের কোন প্রশ্নপত্রে কেউ পরীক্ষা গ্রহণ না করে। এছাড়া গাইড বই, নোট বই নিষিদ্ধ করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।