১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ।। মোস্তাফিজ মুরাদ।।
ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেছেন, বর্তমান প্রজন্ম রাজাকারদের নাম জানলেও একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী অথবা একজন বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার নাম বলতে পারেনা। তাই স্বাধীনতার চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে হলে তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে এবং দেশপ্রেমের চেতনা লালন করতে হবে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে ফেনী সরকারি কলেজ মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, যারা এখনও স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি। অনেক রক্ত আর ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
তিনি বলেন, এক সাগর রক্তের অর্জিত স্বাধীনতা ধরে রাখা, বুদ্ধিজীবিদের প্রতি সম্মান জানানো এটা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। যিনি করবেন না তার দেশের প্রতি, স্বাধীনতার প্রতি মমত্ববোধ নেই।
এসময় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যাদের কল্যাণে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, স্বাধীন দেশ এর পতাকা পেয়েছি সে সকল সূর্য সন্তানদের জানতে হবে, তাদের স্মরণ করতে হবে। তাদের অতুলনীয় দেশপ্রেমের মমত্ব বুকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
ফেনী সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল কান্তি পালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ কাজী মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ সুজন চোধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম জাকারিয়া, ফেনী সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর দেলওয়ার হোসেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী ছলিম উল্লাহ, জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি প্রিয় রঞ্জন দত্ত, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবু তাহের, ফেনী সরকারি কলেজ এর শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক সহকারি অধ্যাপক মোঃ জহির উদ্দিন।
সভাপতির বক্তব্য কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল কান্তি পাল বলেন, আমাদের দেশের পূর্বপুরুষগন রক্ত দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করে গিয়েছেন। এখন আর আমাদের রক্ত দিতে হবেনা, আমাদের প্রত্যক এর স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করলে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের ঋণ পরিশোধ করতে পারব। একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণে, দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে কাজ করে আত্মপ্রত্যয়ী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন এবং তাদের স্মৃতির প্রতি প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরনে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।