বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংস্কারে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। বৃহস্পতিবার বিকালে কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং অপারেশন ম্যানেজার ইনিস্টিউটের ল্যাব, ক্লাসরুমগুলো পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ল্যাব ক্লাস সচল করে পুনরায় চালুর বিষয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এর আগে গত বুধবার বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল প্রাথমিকভাবে পরিদর্শন করেছিল ইনস্টিটিউটি।
মতবিনিময়ে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম যে দক্ষতা অর্জন করছে তা বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন আবদৌলায়ে সেক। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হলে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদানে সক্ষমতা এবং আধুনিকায়ন যা থেকে ভয়াবহ বন্যার কারণে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পিছিয়ে গেছে। তিনি যত দ্রুত সম্ভব কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে আলোচনা করে ক্ষতিগ্রস্ত এই ইনিস্টিউটের উন্নয়নে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
ইনিস্টিউট এর অধ্যক্ষ শেখ মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে নন-ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক জি. এম তাজউদ্দিন আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর অবদৌলায়ে সেক, গেইল মার্টিন অপারেশন ম্যানেজার, তাসমিনা রহমান সিনিয়র এডুকেশন স্পেশালিস্ট, এবিএম খোরশেদ আলম টিভিইটি বিশেষজ্ঞ এবং অত্র ইনিস্টিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা।
মতবিনিময় সভার এক পর্যায়ে বন্যাকালীন মহূর্তের ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করা হয়। ডকুমেন্টারি উপস্থাপন শেষে তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা হোস্টেলের শিক্ষার্থীগণ বন্যায় তাঁদের হোস্টেলের নানান ক্ষয়ক্ষতি, বন্যার পরবর্তী সময়ে চারপাশের দূষিত পরিবেশ, হোস্টেলে আবাসন সংকট, স্যানিটেশন সমস্যাসহ নানান ধরনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির পর মানসিকভাবে নিজেদের ফিট রেখে অল্প সময়ের মধ্যে পুনরায় ক্লাস কার্যক্রমে ফিরে আসায় শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের অভিবাদন জানিয়ে সিনিয়র এডুকেশন স্পেশালিষ্ট তাসমিনা রহমান বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ইনিস্টিউটগুলোকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত হয়ে আছি। ইতিমধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ইনিস্টিউটগুলোর পুনরায় ডেভেলপমেন্ট এর জন্য নতুন পরিকল্পনা করেছি এবং প্রকল্প হাতে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
তাছাড়াও তিনি অত্র ইনিস্টিউট এর অধ্যক্ষকে গত এস্টেট প্রকল্পের প্রকল্প অর্থ থেকে প্রতিষ্ঠানে বিশুদ্ধ পানির সু-ব্যবস্থা এবং ছাত্র-ছাত্রী হোস্টেলের স্যানিটেশন সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ইনিস্টিউটের পুনরায় সংস্করণে সল্প মেয়াদি বা দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার আশ্বাস দেন টিভিইটি বিশেষজ্ঞ এবিএম খোরশেদ আলম।
এছাড়াও তিনি বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরসনে তথ্য দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাংকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।