৩০ নভেম্বর, ২০১৯ ।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ এডুকেশন ডেভোলপমেন্ট প্রজেক্ট- সিইডিপি’র আওতায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছে সরকারী জিয়া মহিলা কলেজ।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) স্বাক্ষাতকালে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তাহমিনা বেগম জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন কলেজ এডুকেশন ডেভোলপমেন্ট প্রজেক্ট- সিইডিপি’র আওতায় এ অনুদান দেয়া হয়।


সিইডিপি’র এ প্রকল্পের অনুদান প্রাপ্তির বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী আমার আবেদন করি। একাধিক যাচাই বাছাইয়ের পর এ বছরের জুন মাসে অনুদান প্রাপ্তির চিঠি পাই এবং জুন মাসে প্রথম দফায় প্রকল্পের ২০ লাখ টাকা জমা হয়েছে। তিনি জানান, ব্যায়ের বিষয়ে নির্দেশনা এখনও আসেনি তাই প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়নি।


শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিইডিপি প্রকল্পের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার (আইডিজি) মোঃ মামুন উল হক জানান, মোট ১৮৪টি সরকারি-বেসরকারি কলেজ থেকে প্রাপ্ত আবেদন যাচাই বাছাই করে ১২২টি কলেজকে তিন ক্যাটাগরিতে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। তিনি জানান, এ ক্যাটাগরি কলেজ ৮ কোটি টাকা, বি ক্যাটাগরি কলেজ ৪ কোটি টাকা এবং সি ক্যাটাগরির কলেজকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, দেশের কলেজগুলোর নিজস্ব স্বপ্ন বাস্তবায়নে এ প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৬৪ কোটি টাকা নির্বাচিত কলেজেগুলোকে ইনস্টিটিউশনাল ডেভোলপমেন্ট গ্র্যান্ট প্রদান করা হয়েছে।


অধ্যক্ষ তাহমিনা বেগম বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠদান পর্যায়ে একাধিক উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের গুণগত মান বৃদ্ধিতে উচ্চ শিক্ষার শ্রেণিকক্ষগুলো উন্নতকরণ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু ও শিক্ষকদের মিলনায়তনের সংস্কার এ প্রকল্পের আওতায় করার পরিকল্পনা রয়েছে।


৪ সদস্য বিশিষ্ট কলেজের এ প্রকল্পের সদস্য হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন পাটোয়ারী জানান, এ প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণ কলেজ ক্যাম্পাসকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। এটি মহিলা কলেজ হওয়াতে বাড়তি নিরাপত্তার বিষয়টুকু নিশ্চিত করা যাবে। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হবে। এতে শ্রেণিতে পাঠদানের সময় বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও জানান, শ্রেণিকক্ষগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।


কলেজ অধ্যক্ষ জানান, প্রকল্পের টাকায় একটি ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব করা হবে যা শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার ল্যাব, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, লাইব্রেরীর জন্য বই কেনা, শিক্ষার্থীদের জন্য বাথরুম স্থাপন ইত্যাদি পরিকল্পনা রয়েছে।