ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছনার ঘটনায় দুই কর্মচারীকে শাস্তিমূলক বদলি করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর৷ এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার (১২ এপ্রিল) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ফেনী পলিটেকনি অধ্যক্ষ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খানের হাতে এসে পৌঁছায়।
তারা হচ্ছেন ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সঞ্জিব হরিজন ও পাম্প অপারেটর দিলীপ কান্তি চাকমা।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অধ্যক্ষের উপর হামলা ও লাঞ্ছনার ঘটনায় প্রশাসনিক স্বার্থে শাস্তিস্বরূপ তাদের বদলি করা হয়েছে।
ইনস্টিটিউট অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান খান জানান, সঞ্জিব হরিজনকে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও দিলীপ কান্তি চাকমাকে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
অধ্যক্ষ বলেন, সঞ্জিব ও দিলীপকে বদলী করা হলেও ঘটনায় জড়িত অন্যান্যরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত সকলের কঠোর বিচার দাবি জানান তিনি।
এ ঘটনার তদন্তে গতকাল সোমবার (১২ এপ্রিল) ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অধ্যক্ষ, বিবাদী ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষকদের বক্তব্য শুনেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আজগর আলী। সাক্ষাতে সবাই উপস্থিত থাকলেও সঞ্জীব হরিজন হাজির হন নি।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান, উভয় পক্ষের বক্তব্য ও তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যাদির আলোকে প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে তা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর প্রেরণ করা হবে।
এর আগে গত রবিবার (১১ এপ্রিল) বিকালে ফেনী ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুজজামান। গত ৫ এপ্রিল সোমবার ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কয়েকজন কর্মচারীর হাতে লাঞ্ছিত হবার অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান। ঘটনার তদন্তের জন্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ফেনী জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব প্রদান করে।
লাঞ্ছিতের ঘটনায় গত ৭ এপ্রিল ইনস্টিটিউটের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সঞ্জিব হরিজন (৩২), ওয়ার্কসপ খালাসী দিলীপ কান্তি চাকমা (৩৪), ক্র্যাফট ইন্সট্রাক্টর (সপ) মোঃ আবুল হোসেন(৫২), মোঃ মোস্তফা কামাল(৩১), তাপস বড়ুয়া (৪১), মোঃ আজগর আলী (৩১), মোঃ আশিকুর রহমান (৩৪), অফিস সহায়ক মোঃ এনামুল হক (৩২), পরিচ্ছন্নতা কর্মী আবদুল কাইয়ুম (৩৬) মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ।