অপার সৌন্দর্য্যমন্ডিত ফেনী। রয়েছে টিলা, সাগর আর নদীর অপরূপ প্রকৃতি। রয়েছে ঐতিহাসিক স্থাপনা, সভ্যতার নিদর্শন। এর সৌন্দর্য্য সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নিজ সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যটন সেল সংক্রান্ত মাসিক সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান।
তিনি বলেন, ফেনী একটি বৈচিত্র্যময় এলাকা। প্রকৃতির সাথে এখানে যোগ হয়েছে প্রকৃতির উপাদানের ব্যবহার। নদী অববাহিকায় গড়ে উঠেছে বিশাল মৎস্য চাষ প্রকল্প। তৈরী হয়েছে দেশের প্রথম ছয় লেন ফ্লাইওভারসহ বহুবিধ স্থাপনা।
জেলা প্রশাসক বলেন, এখনো টিকে থাকা ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর কথা সব মানুষকে জানাতে হবে, এতে গতিশীলতা বাড়বে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, খৃষ্টপূর্বের শিলুয়ার শিল, মুঘল আমলের স্থাপত্যকলা চাঁদগাজী মসজিদ, শাহী মসজিদ, ভাটির বাঘ শমসের গাজীর স্মৃতিচিহ্ন, বৃটিশ শাসনামলে সামরিক বিমান বন্দরের অবশিষ্টাংশসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক বিষয়গুলো নজরে আনতে হবে। চলমান সময়ে ফেনীতে স্থাপিত প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর প্রভূত উন্নয়নকে মেলে ধরতে হবে।
জেলা প্রশাসক জানান, চব্বিশটি সম্ভাবনাময় খাতকে চিহ্নিত করে তা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বিভিন্ন দপ্তরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সভায় ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বি.কম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছাঃ সুমনী আক্তারসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।