চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারসহ তাঁর পরিবারের সাতজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় তাঁদের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল 'পজিটিভ' এসেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপাচার্য বলেন, সামান্য জ্বর আসায় পরিবারের সাতজনের নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় ফলাফল পজিটিভ আসে। চিকিৎসা শুরু করেছি।
আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্যসহ তার পরিবারের সকল সদস্যের সুস্থতায় কামনায় চবি পরিবারসহ সকলের কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপি করেনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় শুরু থেকে চবি পরিবারের (শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ) সদস্যদের সুরক্ষা দিতে চবি মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার চবি মেডিকেল সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন এবং উত্তর চট্টগ্রামের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির সুবিধার্থে চবি'তে করোনা টেস্টিং ল্যাব স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়াও চবি'র অস্থায়ী কর্মচারী, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুরক্ষায় নিয়োজিত কর্মচারী এবং গরীব শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদানসহ করোনা প্রতিরোধে সবধরনের কার্যক্রমে তিনি স্বশরীরে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এসব কারণে মাননীয় উপাচার্য সামান্য অসুস্থ হয়ে পড়লে আজকে মাননীয় উপাচার্য এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নমুনা টেস্ট করা হলে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। মাননীয় উপাচার্য আগামীকাল (১২ জুলাই) থেকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেবেন। মাননীয় উপাচার্য এ অদৃশ্য ভাইরাস থেকে সুস্থ হতে চবি পরিবারসহ সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান জানান, 'গত দুই মাসে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে অন্তত ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু জন সম্পূর্ণ সুস্থ্য। আর বাকিরা চিকিৎসাধীন আছেন।'
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ দিনের জন্য লকডাউন জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।