দিনে দিনে ফেনীতে করোনা শনাক্তের হার যেমন বেড়ে চলেছে, তেমনি ফেনী জেনারেল হাসপাতালেও কয়েকগুন বেড়েছে রোগীর চাপ। হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা: ইকবাল হোসেন ভূইয়া জানান, আজ সোমবার (৫ জুলাই) হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন, যার মধ্যে ৩৭ জন রোগী কোভিড-১৯ পজিটিভ। তাদের মধ্যে ৭৬ জনকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে, ৪ জনকে দেয়া হচ্ছে হাই ফ্লো অক্সিজেন।
উল্লেখ্য, হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে শয্যা রয়েছে ৩০টি। অর্থাৎ স্বাভাবিকের তুলনা হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে তিন গুণ।
ডা: ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, সংক্রমণের ঢেউ গত বছরের ন্যায় এবছরও একই সময়ে এসে দ্রুত ছড়াচ্ছে। হাসপাতালে অক্সিজেনের চাহিদা সম্পর্কে আরএমও জানান, হাসপাতালে ভর্তিকৃত অধিকাংশ করোনা রোগীকেই অক্সিজেনকে দিতে হচ্ছে। এভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে একটা সময় অক্সিজেন দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হবে। তবে লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট যদি চালু হলে হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকট হবে না। ডা: ইকবাল হোসেন ভূইয়া জানান, আগামী শনিবার (১০) জুলাইয়ের মধ্যে হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ফেনীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৬০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৩৭ জন, দাগনভূইয়ায় ১১ জন, ছাগলনাইয়ায় ৭ জন, পরশুরামে ৩ জন, সোনাগাজী ১ এবং বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ১ জন রোগী।
একই সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ফেনীর ১৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে যার মধ্যে ১০৭টি পজিটিভ এসেছে। নমুনা অনুপাতে শনাক্তের হার ৫৪.৮৭ শতাংশ। আজ সোমবার (৫ জুলাই) পর্যন্ত জেলায় মোট কোভিড-১৯ শনাক্তকৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৮৫ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৭৭ জনের।