ফেনীতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসীরা সবাই সুস্থ আছেন। ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ১ হাজার ১৬০ জনের মধ্যে ১জন ব্যতিত সবাই সুস্থভাবে তা সম্পন্ন করেছে। ভারত হতে আসা ১জন এখনো হোম কোয়ারেন্টেনে রয়েছেন, শারীরিকভাবে তিনিও সুস্থ আছেন।
সিভিল সার্জন জানান, গতমাসের ১১ তারিখ হতে ফেনীতে আসা প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিন শুরু হয়।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, কোভিড-১৯ নিরূপণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বমোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২১৭টি। ফলাফল পাওয়া গেছে ১০৫টি। এর মধ্যে ২টি পজিটিভ। বাকিগুলো নেগেটিভ। ফলাফল বাকি আছে ১১২টি।
ফেনীতে শনাক্তকৃত দুইজন কোভিড রোগী যুবক বয়সী। ফেনীর করোনা ডেডিকেটেড হসপিটাল ট্রমা সেন্টারে দুইজনকে ভর্তি রেখে সেবা দেয়া হচ্ছে।
ট্রমা সেন্টারে কর্তব্যরত ডাক্তার এবিএম নাঈম হাসান জানান, আক্রান্ত রোগীদ্বয়ের শারিরীক অবস্থা ভালো আছে। শীঘ্রই তাদের পুণরায় পরীক্ষা করা হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শরফুদ্দিন মাহমুদ জানান, সম্ভাব্য কোভিড রোগীর চিকিৎসায় জেলায় করোনা ডেডিকেটেড হসপিটালসহ ১১০ শয্যা প্রস্তুত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সভা করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী করোনাভাইরাস মোকাবেলা ও ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য ফেনী জেলার দায়িত্বে সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জেলা প্রশাসনের কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন। এসময় তিনি বলেন, ফেনীতে সংক্রমণ যদিও মাত্র দুটি জায়গায় চিহ্নিত হয়েছে, আমরা টেস্টিং এর উপর জোর দিয়েছি। ফেনীসহ আশেপাশে জেলাগুলোতে টেস্টিং সেন্টার নেই। কোভিড টেস্ট সহজলভ্য করতে টেস্টিং সেন্টার করবার জন্য আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। ফেনী অথবা ফেনীর কাছাকাছি কোথাও সেন্টার যেন করা যায় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখবো।