দেশের সরকারি ও বেসরকারি সকল হাসপাতাল ও চিকিৎসকরা কোনো রোগীকে চিকিৎসা প্রদানে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সাথে এ সম্পর্কিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার (২৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ড. আমিনুল হাসান এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের উপসচিব রোকেয়া খাতুন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আলাদা দুটি জরুরি নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি সকল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক কোনো রোগীকে চিকিৎসা প্রদানে অস্বীকৃতি জানতে পারবে না। যদি কোনো রোগীর কভিড-১৯ লক্ষণ থাকে তবে প্রথম চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিবে। প্রয়োজনে পিপিই পরিধানকৃতহ দ্বিতীয় চিকিৎসকের কাছে পাঠাবে এবং তিনি পিপিই পরিহিত অবস্থায় রোগী চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে।
এতে আরও বলা হয়, জেলা পর্যায়ে হাসপাতাল এবং তদূর্ধ্ব সব হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সকে করোনা আক্রান্ত রোগী পরিবহনের কাজে (ড্রাইভার ও পিপিইসহ) নির্দিষ্ট করতে হবে এবং ওই অ্যাম্বুলেন্সটি কোনোভাবেই সাধারণ রোগী পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের আদেশে বলা হয়, নির্দেশ অমান্য করে কোন হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও চিকিৎসক যদি চিকিৎসা প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে ভুক্তভোগী স্থানীয় সেনাবাহিনীর টহল পোস্ট বা নিকটবর্তী থানায় অভিযোগ করতে পারবে।
এতে আরও বলা হয়, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন বাতিল, লাইসেন্স বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। দেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যব্স্থা না থাকায় চিকিৎসকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সাধারণ জনগনের অনেকেই অভিযোগ করছেন চিকিৎসকরা অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বরের রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। যাদিও চিকিৎসকরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে তাদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়ে আসছেন।
সূত্রঃ মেডিভয়েস