ফেনীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গত চার দিনে বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মোট ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন ধর্মপুরের সিয়াম (২৬), সদরের পাঁচগাছিয়ার নুরুজ্জামান (৬৩), বালিগাঁও ইউনিয়নের মোঃ বেলাল হোসেন (৫৮), ফেনী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ ওমর (৩৮), দাগনভূঞার রামানন্দপুরের ইমরান হোসেন (২০) ও ফেনী পৌরসভার বারাহীপুরের জাফর ইকবাল দুলাল (৫০)। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার অভিযানে দাগনভূঞার রামানন্দুপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের অর্থ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (৪০), ফেনী পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঞা (৩৭), পৌর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন (৩৪), পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মো. মনিরুল হক (৪৯), ছাগলনাইয়া উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সোহরাব হোসেন শুভ (১৯), ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুর ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী মো. ইয়াকুব বাবু (৩০), সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের অর্থ সম্পাদক মুরাদ হোসেন বাবু (২৫), ফাজিলপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল হোসেন (৭০), শর্শদি ইউনিয়নের জাহানপুরের আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (৬০) এবং দাগনভূঞার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ওসি জানান, মহিপালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে ১০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫ জন ও পরদিন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।