ফেনীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফেনীর বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়। তারা হলেন জিয়া উদ্দিন ডালিম (৪৫) ও তার সহযোগী জীবন কৃষ্ণ দে (৪০), ইয়াসিন হাসান (২৫) এবং মেহেরাজ (২৫)। গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্রটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে মহিপালে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণে জড়িতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া একজনের কাছ থেকে একটি শর্টগানের ব্যারেল ও শর্টগানের সরঞ্জামাদি, ৩৭টি কার্তুজ, এয়ারগান, হাতকড়া এবং দুইজন থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

যৌথবাহিনী সূত্রে জানা যায়, ফেনী সদরের কাজিরবাগ থেকে জিয়া উদ্দীন ডালিম (৪৫) ও তার সহযোগী জীবন কৃষ্ণ দেকে মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভাষা শহিদ আব্দুস সালাম স্টেডিয়াম এলাকা থেকে ইয়াসিন হাসান (২৫) নামের এক যুবককে উক্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক করা হয়। এছাড়া দাগনভূঞার পূর্ব চন্ডীপুর এলাকা হতে দাগনভূঞা থানায় এজাহারভুক্ত আসামী মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মহিপালে গুলিবর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি। গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার উপর গুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন আহত তাজিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গতকাল ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় জিয়া উদ্দিন ডালিমকে ৯ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের একজনকে নিয়মিত মামলা ও অপর দুইজনকে অস্ত্র মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসিম জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনা মামলায় যৌথবাহিনী মেহেরাজ নামে একজনকে আটক করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর হতে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে ৪ ও ৫ আগস্ট ফেনীর বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর আক্রমণকারী সন্ত্রাসীসহ সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আটক এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।