ফেনীতে প্রগতিশীল জোটের লংমার্চে হামলার ঘটনায় পরিদর্শনে এসেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন। আজ শনিবার ( ১৭ অক্টোবর) সাড়ে ৪টায় তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে আসেন। এরপর জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ডিআইজি বলেন, লংমার্চকে কেন্দ্র করে ফেনীতে যে ব্যঙ্গাত্মক লেখনী, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে তা কখনোই কাম্য নয় এবং তা উচিত নয়। এ ঘটনায় আমাদের পুলিশের ২ জন সদস্য আহত হয়েছে।
মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, আমি ফেনীর পরিস্থিতি অবহিত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি। পরিদর্শনে এসে ধারণা করা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছবিতে আপত্তিকর মন্তব্য লেখার কারণে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করব আইন শৃঙ্খলা মেনে চলার জন্য।
তিনি বলেন, আপানি র্যালি করবেন, করুন। আপনার বক্তব্য দেবার আছে, দিন। আমরা নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে কোন উস্কানীমূলক কথা বলা বা লেখা কারও পক্ষে উচিত নয়।
লংমার্চকারীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা সম্পূর্ণ পথজুড়েই তাদের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি। গতকালও তারা কুমিল্লায় শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করে এসেছে। নোয়াখালীতেও আমরা অনুকূল ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু ফেনীতে যে ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত, এটি আমরা কেউই প্রত্যাশা করি না।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। করলে তা বিবেচনা করা হবে। তাছাড়া আইনগতভাবে পুলিশ যা করণীয় তা করবে।
পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মাঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, ফেনী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান, সহকারি পুলিশ সুপার (ডিএসবি) খালেদ হোসেন, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ফেনীতে সমাবেশ শেষে প্রগতিশীল জোটের ধর্ষণবিরোধী লংমার্চ নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হবার পথে বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। বাসদের ফেনী জেলা সাধারণ সম্পাদক মহিবুল হক চৌধুরী রাসেল দাবি করেন, হামলায় ১২ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় একাত্তর টিভি ফেনী প্রতিনিধি জহিরুল হক মিলুর মোবাইল ভাংচুর ও সাপ্তাহিক হকার্স পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ইয়াছির আরাফাত রুবেল লাঞ্ছিত হয়।